পুলিশ হত্যায় মির্জা আব্বাস ও আলাল গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩১, ২০২৩; সময়: ১০:০৪ অপরাহ্ণ |
পুলিশ হত্যায় মির্জা আব্বাস ও আলাল গ্রেপ্তার

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : গত শনিবার (২৮ অক্টোবর) বিএনপির সমাবেশ থেকে তাণ্ডব চালিয়ে পুলিশ হত্যার ঘটনায় দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস এবং যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) রাতে শাহজাহানপুরের পাশে শহীদবাগ মসজিদ গলি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা ‍পুলিশের (ডিবি) সদস্যরা। পরে তাদের ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়। ঢাকার ডিবির প্রধান হারুন অর রশীদ গ্রেপ্তারের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।

গত শনিবার (২৮ অক্টোবর) বিএনপির সমাবেশের দিন পুলিশ সদস্য আমিরুল ইসলাম পারভেজকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় পরদিন রোববার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর পল্টন থানার এসআই মাসুক মিয়া বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু ও আহমেদ আজম খান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুন নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানীকে আসামি করা হয়।

এছাড়া কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য ইশরাক হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য তাবিথ আউয়াল এবং ঢাকা জেলা বিএনপির সদস্য নিপুণ রায়সহ ১৬৪ জন নেতাকর্মী ছাড়াও অজ্ঞাত আরও কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে মামলায় আসামি করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯, ১৮৬, ৩৩২, ৩৩৩, ৩০২, ৩৫৩, ৪২৭, ১০৯, ৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

এরআগে, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় রমনা থানার মামলায় রোববার (২৯ অক্টোবর) মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেফতার করা হয়। গুলশানের বাসা থেকে ডিবির সদস্যরা তাকে গ্রেফতার করেন। পরে রাতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এদিকে সমাবেশের দিন সন্ধ্যায় বিএনপি কার্যালয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা পরিচয়ে প্রবাসী মিয়ান আরাফিকে দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করানোর ঘটনায় হওয়া মামলায় সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত লে. জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে বিতর্কিত সাবেক এই সেনা কর্মকর্তাকে সাভার মডেল টাউন থেকে গ্রেফতার করা হয়।

এছাড়া বাইডেনের কথিত উপদেষ্টা মিয়ান আরাফিকেও রোববার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করেন ডিবির সদস্যরা। ইমিগ্রেশন পুলিশ আরাফিকে আটক করে ডিবির হাতে তুলে দেয়। পরে রাষ্ট্রদ্রোহিতা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের হওয়া মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে