নাটোরে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ
নিজস্ব প্রতিবেদক, নাটোর : নাটোর নবাব সিরাজ উদ-দৌলা সরকারী কলেজ শাখার ছাত্রলীগ কমিটি বিতর্কিতদের নিয়ে কমিটি ঘোষনা দেয়াকে কেন্দ্র করে পদবঞ্চিতদের সাথে সংঘর্ষ হয়েছে।
এঘটনায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সাবেক ভিপি ও সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইসতিয়াক আহমেদ ডলারের ব্যাক্তিগত কার্যালয়ে গুলি ছোড়াসহ বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুর করার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দুপুরে নাটোর নবাব সিরাজউদ্দৌলা কলেজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর পরিস্থিতি স্বাভাবাবিক হয়। ছাত্রলীগের দুই পক্ষই জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজানের সমর্থক বলে জানা যায়।
পৌর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি প্রার্থী সাদ বিন জাকির বলেন, মঙ্গলবার রাতে জেলা ছাত্রলীগ সভাপিত ও সম্পাদক স্বাক্ষরিত প্যাডে ওমর ফারুক লিটনকে সভাপতি ও রবিনকে সাধারণ সম্পাদক করে এক বছরের জন্য কমিটি ঘোষনা করেন। কর্মি বান্ধবদের নিয়ে এ কমিটি করা হয়নি। প্রতিবাদে আজ বুধবার সকালে কলেজের মূল ফটকে বিক্ষোভ শুরু করে। পরে কলেজ এলকায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সাবেক ভিপি ইসতিয়াক আহমেদ ডলারের ব্যাক্তিগত কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করতে থাকে কমিটির পদবঞ্চিত ছাত্রলীগ কর্মিরা। এসময় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফরহাদ বিন আজিজ তার সমর্থক নিয়ে বিক্ষোভরত ছাত্রলীগ কর্মিদের উপর ধাওয়া এবং গুলি ছোড়ে। এসময় তারা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইসতিয়াক আহমেদ ডলারের ব্যাক্তিগত কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুর করে বলে দাবি সাদ বিন জাকির সহ তার অনুসারীদের।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফরহাদ বিন আজিজ বলেন, যোগ্যদের নিয়েই কলেজ শাখা ছাত্রলীগ কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকের নাম ঘোষনা করা হয়েছে। এতে যারা পদ পয়নি তারা ক্ষুদ্ধ হয়ে বিক্ষোভ করছিল। এসময় তিনি ও তার সমর্থকেররা ঘটনাস্থলে গেলে বিক্ষোভকারীরা তার ওপর হামলা চালায়। এসময় তার সমর্থকের সাথে বিক্ষোভ কারীদের ধাক্কাধাক্কি হয়। কার্যালয় ভাংচুর ও গুলি ছোড়ার অভিযোগ সত্য নয়। মিথ্যা ও বানোয়াট এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার রাতে নাটোর নবাব সিরাজ উদ দৌলা সরকারী কলেজ শাখা ঘোষনার পর এনএস কলেজ শাখা ছাত্রলীগের পদ বঞ্চিতরা তাৎক্ষনিক বিক্ষোভ করে এবং ঘোষিত কমিটি প্রত্যাখান করে। পদবঞ্চিতরা রাতেই বিক্ষোভ মিছিল বের করে ক্ষোভ প্রকাশ করে। এসময় কলেজ ছাত্রলীগের নবনির্বাচিত সভাপতি ওমর ফারুক লিটনের অনুসারীরাও আনন্দ মিছির বের করলে উভয়ের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশের হস্তক্ষেপে উভয় পক্ষই শান্ত হয়। বুধবার সকাল থেকে সভাপতি প্রার্থী সাদ বিন জাকিরের অনুসারীরা ঘোষিত নতুন কমিটি বাতিলের দাবিতে কলেজ চত্বর এলাকায় বিক্ষাভ করতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা কলেজ এলকায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইশতিয়াক আহম্মেদ ডলারের বাড়ির সামনে অবস্থান নিয়ে ক্ষোভ জানাতে থাকে।
এব্যাপারে জানতে ইশতিয়াক আহমেদ ডলারের সাথে তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার রিং দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
নাটোর সদর থানার ওসি নাছিম আহমেদ জানান, ঘটনা শোনার পর পরই দ্রুত ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত ও পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানান ওসি । এব্যাপারে থানায় কোন অভিযোগ করা হয়নি।