ঢাকায় সিএনজিতে ককটেল নিক্ষেপের পর বিস্ফোরণ, আগুন

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২৩; সময়: ১০:০৭ পূর্বাহ্ণ |
ঢাকায় সিএনজিতে ককটেল নিক্ষেপের পর বিস্ফোরণ, আগুন

পদ্মাটাইমস ডেস্ক :  নির্বাচন ঠেকাতে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকা ৪৮ ঘণ্টা হরতালের শুরুতেই রাজধানীতে একটি সিএনজিচালিত অটোরকিশাকে লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ওই সিএনজিতে বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে যায়।

রোববার (১৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পুরান ঢাকার কাজী আলাউদ্দিন রোডের ওয়ান স্টার হোটেলের সামনে একটি সিএনজিতে ককটেল নিক্ষেপ করে হরতাল সমর্থকরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সিএনজি অটোরিকশাটি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদরদফতরের দেয়াল ঘেষে দাঁড়িয়ে ছিল। এসময় হরতাল সমর্থকদের নিক্ষেপ করা একটি ককটেল এসে সিএনজিটির সামনের গ্লাসে পড়ে। মুহূর্তেই গ্লাসটি চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে সিএনজিতে আগুন ধরে যায়। খবর পেয়ে সিদ্দিকবাজার ফায়ার স্টেশন আগুন নির্বাপণ করে।

তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

এদিকে হরতালের প্রথম দিন সকালে রাজধানীতে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। যদিও অন্যন্য দিনের তুলনায় যানবাহনের সংখ্যা কম। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মোড়ে মোড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বেশ তৎপর।

সকালে নয়াপল্টন, গাবতলী, শাহবাগ ও মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে গণপরিবহনের পাশাপাশি চলছে ব্যক্তিগত গাড়িও।

উত্তরবঙ্গ থেকে বাসগুলো ঠিক সময়ে রাজধানীতে প্রবেশ করছে। ঢাকা থেকে ছেড়ে যাচ্ছে দূরপাল্লার বাসও। যদিও যাত্রীর চাপ কিছুটা কম।

সকালে ঢাকার অভ্যন্তরীণ গণপরিবহনের চাপ কিছুটা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে যানবাহনের সংখ্যা। কর্মজীবীরা কর্মস্থলে যেতে শুরু করেছেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে গণপরিবহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জনমনে কিছুটা আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এদিকে, হরতালের আগের রাতে আগারগাঁও, গুলিস্তান, ধানমণ্ডি ও কালশিতে চারটি বাসে অগ্নিসংযোগ করা হয়। শনিবার (১৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা থেকেই বাসে আগুন দেয়া শুরু করে হরতাল সমর্থনকারীরা। সন্ধ্যা ৬টার দিকে মিরপুর থেকে যাত্রী নিয়ে ফার্মগেটের দিকে যাচ্ছিল বিহঙ্গ পরিবহনের একটি বাস। তালতলা মোড়ে পৌঁছালে হঠাৎই আগুন লাগে বাসটিতে। যাত্রীরা দ্রুত বাইরে বের হয়ে যান। বাসে আগুন দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় একজনকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন স্থানীয়রা।

রাতে মৌমিতা পরিবহনের একটি বাস নারায়ণগঞ্জ থেকে গাবতলী যাওয়ার পথে ধানমন্ডি এলাকায় আগুন ধরিয়ে দেন দুর্বৃত্তরা। এ সময় বাস থেকে যাত্রীরা নিরাপদে নেমে গেলেও পুড়ে যায় বাসটি। পুলিশ জানায়, যাত্রীবেশে বাসে উঠে পেছনের সিটে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায় হরতালকারীরা।

রাত ৮টার পর গুলিস্তানে একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেয়া হয়। কাছাকাছি সময় কালশি রোডে দাঁড়িয়ে থাকা বসুমতি বাসে আগুন ধরিয়ে দেন হরতাল সমর্থনকারীরা। এসব ঘটনায় কেউ আহত হয়নি কিংবা কাউকে আটকও করতে পারেনি পুলিশ।

কালশি রোডেও দুটি বাসে আগুন দেয়া হয়। অবশ্য তাতেও কেউ হতাহত হয়নি।

এছাড়াও সারা দেশে বিক্ষিপ্তভাবে যানবাহনে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেছে। কোথাও ট্রেনে আগুন, আবার কোথাও বাসে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে