এমবাপের শেষের গোলে পিএসজির রক্ষা
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : ঘরের মাঠে পুরোটা সময় গলা ফাটাল পিএসজির সমর্থকরা। তবে আক্রমণভাগের একের পর এক ব্যর্থতায় ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের সামনে চোখ রাঙাচ্ছিল পরাজয়। তাদের বিপক্ষে আরেকটি জয়ের সুবাস পাচ্ছিল নিউক্যাসল ইউনাইটেড। শেষ মুহূর্তে পাল্টে গেল চিত্র। পেনাল্টি গোলে দলকে বাঁচালেন কিলিয়ান এমবাপে।
প্যারিসে মঙ্গলবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ‘এফ’ গ্রুপের ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছে। প্রথমার্ধে নিউক্যাসলকে এগিয়ে নিয়েছিলেন আলেক্সান্দার ইসাক।
প্রথম দেখায় নিউক্যাসলের মাঠে ৪-১ গোলে হেরেছিল পিএসজি।
একই সময়ে আরেক ম্যাচে এসি মিলানকে ৩-১ গোলে হারিয়ে এই গ্রুপ থেকে প্রথম দল হিসেবে শেষ ষোলোর টিকেট নিশ্চিত করেছে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। ৫ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে জার্মান দলটি।
দ্বিতীয় দল হিসেবে পরের ধাপে যাওয়ার সুযোগ আছে বাকি তিন দলের সামনেই। ৭ পয়েন্ট নিয়ে পিএসজি দুইয়ে আছে। সমান ৫ পয়েন্ট নিয়ে নিউক্যাসল তিনে, মিলান চারে আছে।
শেষ রাউন্ডে ডর্টমুন্ডের মাঠে খেলবে পিএসজি। ঘরের মাঠে মিলানের মুখোমুখি হবে নিউক্যাসল।
নিউক্যাসলের সঙ্গে ফিরতি দেখায় পিএসজি যে আক্রমণের ঢেউ তুলেছিল, তার স্পষ্ট প্রমাণ পরিসংখ্যানে। ৭২ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে গোলের জন্য তারা শট নেয় ৩১টি, যার ৭টি ছিল লক্ষ্যে। নিউক্যাসলের ৫ শটের ২টি লক্ষ্যে ছিল।
প্রথম ১০ মিনিটেই দুটি ভালো সুযোগ পায় পিএসজি। ছয় গজ বক্সের বাইরে থেকে ফাবিয়ান রুইসের ভলি উড়ে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে। আশরাফ হাকিমির পাসে কাছ থেকে এমবাপের ব্যাকহিল ফ্লিক পা দিয়ে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক নিক পোপ।
দ্বাদশ মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ পায় নিউক্যাসল। তবে কাছ থেকে উড়িয়ে মেরে হতাশ করেন ইসাক। ২৪তম মিনিটে তিনিই উচ্ছ্বাসে ভাসান দলকে। বক্সের বাইরে থেকে আলমিরনের নিচু শট জানলুইজি দোন্নারুম্মা ঝাঁপিয়ে ঠেকালেও বিপদমুক্ত করতে পারেননি, কাছ থেকে জাল খুঁজে নেন সুইডিশ ফরোয়ার্ড।
২০০৩ সালে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে অ্যালান শিয়েরারের পর নিউক্যাসলের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অ্যাওয়ে ম্যাচে গোল করলেন ইসাক।
প্রথমার্ধের বাকি সময়ে সমতা ফেরানোর একাধিক সুযোগ পায় পিএসজি। উসমান দেম্বেলের নিচু শট ব্যর্থ করে দেন পোপ। সাবেক বার্সেলোনা ফরোয়ার্ডের আরেকটি প্রচেষ্টা আটকে যায় রক্ষণে।
৬৬তম মিনিটে গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিল পিএসজি। অসাধারণ নৈপুণ্যে জাল অক্ষত রাখেন পোপ। এমবাপের পাসে কাছ থেকে বার্কোলার প্রচেষ্টা ফিরিয়ে দেন ৩১ বছর বয়সী ইংলিশ গোলরক্ষক।
শেষ দিকে আরও চাপ বাড়ায় পিএসজি। ৮২তম মিনিটে কাছ থেকে দেম্বেলের শট পোস্টের বাইরের দিকে লাগে। পাঁচ মিনিট পর এমবাপের আরেকটি প্রচেষ্টা ঠেকান পোপ।
আট মিনিট যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে বক্সে দেম্বেলের পা থেকে বল নিউক্যাসলের ডিফেন্ডার টিনো লিভরামেন্টোর কনুইয়ের নিচে লাগলে পেনাল্টির জোরাল আবেদন করে পিএসজির খেলোয়াড়রা।
রেফারি যদিও সাড়া দেননি। পরে ভিএআর মনিটরে রিপ্লে দেখে পেনাল্টির বাঁশি বাজান তিনি। স্পট কিকে ঠাণ্ডা মাথায় বল জালে পাঠিয়ে দলকে মূল্যবান পয়েন্ট এনে দেন পিএসজি অধিনায়ক এমবাপে।