কারাগার থেকে ‘উধাও’ পুতিনের কট্টর সমালোচক নাভালনি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১২, ২০২৩; সময়: ১২:৩১ অপরাহ্ণ |
কারাগার থেকে ‘উধাও’ পুতিনের কট্টর সমালোচক নাভালনি

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কট্টর সমালোচক ‍ও বিরোধীদলীয় নেতা আলেক্সি নাভালনিকে একটি কারাগার থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

এই কারাগারে তিনি গত বছরের মাঝামাঝি থেকে বন্দি ছিলেন। তাকে সরিয়ে কোথায় নেওয়া হয়েছে, তা এখানো জানায়নি রুশ কর্তৃপক্ষ। গতকাল (১১ ডিসেম্বর) সোমবার নাভালনির সহযোগীরা এসব তথ্য জানিয়েছেন। খবর রয়টার্সের।

এমন সময়ে ৪৭ বছর বয়সি নাভালনি কারাগার থেকে উধাও হলেন যখন রাশিয়ায় পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণা শুরু হয়েছে। গত শুক্রবার এই নির্বাচনে লড়াই করার ঘোষণা দিয়েছেন পুতিন।

বর্তমানে ৯ বছরের সাজা খাটছেন নাভালনি। এই সাজা খাটার মধ্যে গত আগস্টে এক ফৌজদারি মামলায় তাকে আরও ১৯ বছরের কারাদণ্ড দেয় রাশিয়ার একটি আদালত।

এরপর থেকে নাভালনির সহযোগীরা ধারণা করছিলেন, তাকে রাশিয়ার সবচেয়ে কঠোর কারা ব্যবস্থা হিসেবে পরিচিত বিশেষ রিজিম কলোনিতে সরিয়ে নেওয়া হতে পারে। এই ধরনের কারাগার রাশিয়ায় ৩০টির মতো রয়েছে।

রাশিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা কারাগারে বন্দিদের ট্রেনে করে নেওয়া হয়। এই বন্দি স্থানান্তরে কয়েক সপ্তাহ লেগে যায়। এই সময়টাই তাদের অবস্থান ও স্বাস্থ্য সম্পর্ক কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। নাভালনিও এমন কোনো প্রক্রিয়ায় আছেন কিনা, তা স্পষ্ট নয়।

নাভালনির মুখপাত্র কিরা ইয়ারমিশ বলেছেন, নাভালনি এতদিন মস্কো থেকে ২৩৫ কিলোমিটার পূর্বে মেলেখভোতে আইকে-৬ কারাগারে বন্দি ছিলেন। তবে ওই কারাগারের কর্তৃপক্ষ নাভালনির আইনজীবীকে জানিয়েছেন, তিনি আর তাদের কারাগারে নেই।

কিরা ইয়ারমিশ রয়টার্সকে বলেন, আমরা জানি না তিনি এখন কোথায় আছেন। তিনি বিশেষ কারাগারে থাকতে পারেন। রাশিয়ায় এই ধরনের প্রায় ৩০টি কারাগার রয়েছে। আমরা প্রতিটি কারাগারে গিয়ে তার খোঁজ করব।

এদিকে এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, তাকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া উচিত। তাকে জেলে রাখা উচিত ছিল না।

পুতিন ও রুশ সামরিক অভিজাত নেতাদের বিরুদ্ধে বেশ সরব ৪৭ বছর বয়সি নাভালনি। ২০২০ সালের আগস্টে সাইবেরিয়ার টমসক শহর থেকে উড়োজাহাজে করে মস্কোয় ফেরার পথে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।

এরপর তাকে প্রথমে সাইবেরিয়ার একটি হাসপাতালে এবং সেখান থেকে চিকিৎসার জন্য জার্মানির বার্লিনে নেওয়া হয়। জার্মানির চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি।

একই বছরের সেপ্টেম্বরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বিশেষজ্ঞরা জানান, নাভালনিকে রুশ নার্ভ এজেন্ট ‘নোভিচক’ বিষ প্রয়োগ করেছে। এ জন্য সরাসরি পুতিনকে দায়ী করে আসছেন নাভালনি। যদিও পুতিন এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

এমন পরিস্থিতিতে ক্রেমলিনের হুমকি উপেক্ষা করে ২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি দেশে ফিরলে মস্কো বিমানবন্দরেই তাকে গ্রেপ্তার করে রুশ কর্তৃপক্ষ। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে