পুঠিয়া-দূর্গাপুরে নৌকার পালে ঈগলের থাবা, নৌকাডুবির আশঙ্কা
নিজস্ব প্রতিবেদক, পুঠিয়া : রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দূর্গাপুর) আসনে এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকাডুবির আশঙ্কায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শঙ্কিত বলে গুঞ্জন বইছে, জনমনেও দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
এবারের নির্বাচনে জয়-পরাজয়ে আ’লীগেরই দুই প্রার্থী নৌকা প্রতীকের দলীয় মনোনীত প্রার্থী জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক দুই বারের সংসদ সদস্য আব্দুল ওয়াদুদ দারা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় উপকমিটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এবং রাজশাহী জেলা যুবলীগের সাবেক সহসভাপতি ওবায়দুর রহমান।
আ’লীগের দলীয় মনোনয়ন নৌকার প্রার্থী আব্দুল ওয়াদুদ দারা পেলেও প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন স্বতন্ত্র ডামি প্রার্থী ওবায়দুর রহমান। অনেকে এর মূল কারণ হিসেবে দেখছেন উপজেলা আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের একটা বড় অংশ স্বতন্ত্র প্রার্থী ওবায়দুর রহমানের প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত। বিভিন্ন নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের ভালোবাসায় প্রচার-প্রচারণায় মাঠ দাবিয়ে বেড়াচ্ছেন ঈগল প্রার্থী ওবায়দুর রাহমান ।
পুঠিয়া উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার রহিম কনকসহ অনেক নেতা-কর্মী বলেন, যেহেতু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবারের নির্বাচন সবার জন্য উন্মুক্ত করেছে। এবং আমরা অনেকদিন কোন পক্ষ না নিয়ে বসে ছিলাম। কিন্তু নৌকার প্রার্থী বা কেউ ফোন পর্যন্ত করে কোন কিছু বলেনি। তাই আ’লীগের দলীয় মনোনীত প্রার্থী আব্দুল ওয়াদুদ দারার এই প্রতিহিংসা মূলক রাজনীতির কারণে তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী ওবায়দুর রহমানের পক্ষে ঈগল প্রতীককে জয়যুক্ত করার চেষ্টা করছি। পুঠিয়া-দূর্গাপুরের বিভিন্ন স্থানে জনসংযোগের সময় ঈগল প্রতীকে সাধারণ মানুষের মাঝে ভোট প্রার্থনা করেন প্রার্থীসহ কর্মীরা। এবং শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী যুদ্ধে লড়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ঈগল প্রতীককে জয়যুক্ত করবো ।
এ সময় ওবায়দুর রহমান বলেন, পুঠিয়া-দূর্গাপুর উপজেলাকে মাদকমুক্ত দেখতে চান উপজেলার সাধারণ মানুষ। শিক্ষা ও যোগাযোগ ব্যবস্থারও পরিবর্তন চান জনসাধারণ। সঠিক নেতৃত্ব না থাকার কারণে সৃষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় লোকজনও উপায় খুঁজে পাচ্ছিলো না। এলাকায় পরিবেশ-পরিস্থিতিও খারাপের দিকে যাচ্ছিলো । এসব পরিস্থিতি বিবেচনা করে জনগণের উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মতে প্রার্থী হয়েছি। এছাড়া ভোটাররাও তাঁর পক্ষে আছেন বলে জানান তিনি।
সাধারণ ভোটাররা বলছেন, এমপি না হয়েও ওবায়দুর রহমান কোভিড-১৯ এর মত কঠিন সময় জনগনের মাঝে বিভিন্ন সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে জনগনের পাশে ছিলেন। আগামী দিনে এমপি নির্বাচিত হয়ে অসহায় মানুষের পাশে থাকবেন বলে স্বপ্ন দেখছেন। উপজেলাবাসী তাকে ভুলবেন না তাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন। সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে স্বতন্ত্র প্রার্থী ওবায়দুর রহমানের ডাকে সাড়াও দিচ্ছেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী ওবায়দুর রহমান ব্যক্তি ইমেজ, আদর্শিক-পরীক্ষিত, ত্যাগী-নিবেদিতপ্রাণ, কর্মী-জনবান্ধব রাজনৈতিক নেতা হিসেবে দলমত নির্বিশেষে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের মাঝে সমান জনপ্রিয় বলে মনে করছেন উপজেলার বেশিরভাগ ভোটাররা।
