উচ্চপর্যায়ের নির্বাচন মনিটরিং সেল গঠনের সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩১, ২০২৩; সময়: ৮:৫২ অপরাহ্ণ |
উচ্চপর্যায়ের নির্বাচন মনিটরিং সেল গঠনের সিদ্ধান্ত

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় ও মনিটরিং সেল গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। রোববার (৩১ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে এ আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় ও মনিটরিং সেল গঠন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো এ সংক্রান্ত চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন উপলক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে একটি আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় ও মনিটরিং সেল গঠন করার জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের আইডিয়া প্রকল্প-২ (২য় পর্যায়) এর পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সায়েমের নেতৃত্বে এ সেল গঠন করা হবে।

এতে অন্তর্ভুক্ত থাকবেন উপসচিব/পুলিশ সুপার/ পরিচালক/উপপরিচালক পযমর্যাদার ১ জন উপ-সচিব, ৩ জন পুলিশ, র‌্যাবের ২ জন, বিজিবির ৩ জন, কোস্ট গার্ডের ২ জন এবং আনসার ও ভিডিপি ২ জন। এছাড়া মেজর/ক্যাপ্টেন পদমর্যাদার সেনাবাহিনী ৪ জন, নৌবাহিনী ১ জন এবং বিমানবাহিনীর ১ জন অন্তর্ভুক্ত থাকবেন। আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের ৪র্থ তলায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের মনিটরিং সেলের কার্যপরিধি হবে নিম্নরূপ-

১. নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী মনিটরিং সেল ৬ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে ৯ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত মোট ৭২ ঘণ্টা পরিচালনা করা হবে।

২. দায়িত্বরত কর্মকর্তারা বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করে মাঠ পর্যায়ে যথাসম্ভব যাচাই-বাছাই করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনকে দেড় ঘণ্টা পর পর অবহিতকরণ এবং জরুরি প্রয়োজনে বিশেষ প্রতিবেদন পাঠাতে হবে।

৩. সেলে অন্তর্ভুক্ত সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধিদের নির্বাচন উপলক্ষে মোতায়েনকৃত আইনশৃঙ্খলা সদস্যদের সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে অবগত করতে হবে।

৪. ভোটকেন্দ্র বা নির্বাচনী এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় করতে হবে।

৫. বিভিন্ন নির্বাচনী মালামাল পরিবহন, বিতরণ এবং ভোটগ্রহণ কাজে নিরাপত্তা বিধানের জন্য মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় করে রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং ও প্রিজাইডিং অফিসারদের সহায়তা দিতে হবে।

৬. সংস্থার নিজস্ব যোগাযোগ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা তাৎক্ষণিকভাবে মাঠ পর্যায়ে নিয়োজিত বাহিনীকে অবহিত করতে হবে।

নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে স্থাপিত সেলের প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য কর্মকর্তা প্রেরণ এবং ৫ জানুয়ারি প্রাক-পরিকল্পনা সভায় উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানানো হয় এ চিঠিতে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে