দ্বিগুণ লাভের আশায় সরিষা চাষে ঝুঁকছেন বদলগাছীর কৃষকরা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৭, ২০২৪; সময়: ১২:৩৬ অপরাহ্ণ |
খবর > কৃষি
দ্বিগুণ লাভের আশায় সরিষা চাষে ঝুঁকছেন বদলগাছীর কৃষকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বদলগাছী : দিগন্তজুড়ে মাঠে মাঠে হলুদের সমারোহ। হলুদ ফুলের মৌ-মৌ গন্ধে ফুলে ফুলে উড়ছে মৌমাছি। সরিষা ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করছেন চাষিরা। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে মধু সংগ্রহের জন্য দেওয়া হয়েছে মৌ বাক্স।

এদিকে সরিষা ফুলের ছবি তুলতে ভিড় করছেন বিভিন্ন পেশার মানুষ। সরিষার হলুদ ফুলে দুলছে কৃষকের রঙিন স্বপ্ন। বাম্পার ফলন হওয়ায় দ্বিগুণ লাভের আশা করছে বদলগাছীর কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, গত বছরের থেকে এ বছর সরিষার আবাদ বেড়েছে প্রায় ৩ গুণ। ফলন ভালো ও লাভবান হওয়ায় কৃষকরা ঝুঁকছেন এবার সরিষা আবাদে। এ বছর এই উপজেলায় বেশি চাষ হয়েছে বারি-১৪,১৫,১৭,১৮ বিনা ৪ ও ৯ জাতের সরিষা।

২০২২-২৩ অর্থবছরে বদলগাছী উপজেলায় সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১ হাজার হেক্টর। অর্জিত হয়েছিলো ১ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিলো ৩ হাজার ৩ শত হেক্টর। আর অর্জিত হয়েছে ৩ হাজার ৩১০ হেক্টর জমিতে। তাই এই উপজেলায় চলতি বছরে সবচেয়ে বেশি চাষাবাদ হয়েছে সরিষা।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, গত বছরও প্রতি একর সরিষা চাষাবাদে খরচ হয়েছিলো ১০-১২ হাজার টাকা। আর এ বছর জমি তৈরি ও হালচাষে প্রায় ২-৩ হাজার টাকা বেশি খরচ হয়েছে। প্রতি একরে সরিষা উৎপাদন হবে প্রায় ১৫-২০ মণ।

মৌসুমের সময় দাম কিছুটা কম থাকলেও প্রতি মণ সরিষা বিক্রি করা যাবে ২ হাজার ৫ শত থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে মজুত করে বছরের শেষে বিক্রি করলে প্রায় দ্বিগুণ দাম পাওয়া যাবে বলে আশা করছি।

মথুরাপুর ইউপির সরিষা চাষি সবুজ জানান, যেসব জমিতে পানি জমে থাকায় সময়মতো আমন ধানের চারা রোপণ করা যায়নি সেসব জমিতে সরিষার আবাদ বেশি হয়েছে। সরিষা আবাদ খুবই লাভজনক। তাই এবার আমি প্রায় ২ একর জমিতে সরিষা চাষাবাদ করেছি।

মিঠাপুর ইউনিয়নের কৃষক রশীদ মিয়া জানান, আমি আমন আবাদের পর পতিত জমিতে সরিষা আবাদ করে বাড়তি আয় করি। সেই ধারাবাহিকতায় এবার প্রায় দেড় একর জমিতে সরিষা আবাদ করেছি। এ সরিষা উঠিয়ে সঙ্গে সঙ্গে বোরো ধানের চারা রোপণ করব।

ফলে অল্প সময়ে একই জমিতে আমি দুটি ফসল পাই। উপজেলা কৃষি অফিসার সাবাব ফারহান বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও এ উপজেলায় কৃষি অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে প্রান্তিক চাষিদের জন্য বিশেষ প্রণোদনা ব্যবস্থা করা হয়েছিলো।

এই কর্মসূচির আওতায় সরিষা আবাদের জন্য ১ হাজার ২ শত জন কৃষককে বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। সরিষার আবাদও বেশ ভালো হয়েছে আবহাওয়া অনুকূলে থাকালে এ বছর সরিষার বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছি ।

 

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে