লাউ-বেগুনে সেঞ্চুরি, রুই ৭০০

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৬, ২০২৪; সময়: ১২:০৭ অপরাহ্ণ |
লাউ-বেগুনে সেঞ্চুরি, রুই ৭০০

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : শীত এলেই মৌসুমি সবজিতে ভরে যায় কাঁচাবাজার। এর ফলে দামও কম হয়। কিন্তু এ বছর তা না হয়ে বিপরীত হয়েছে বলে দাবি ক্রেতা-বিক্রেতাদের। তারা বলছে, এবার পুরো সবজির মৌসুমে বাজারে দাম ছিল অফ সিজনের মতো ঊর্ধ্বমুখী। একই সুর দিয়েছেন দোকানিরাও।

কাঁচাবাজার গিয়ে দেখা দেখা যায়, সিটি করপোরেশন মার্কেটটি ভেঙে দিয়েছে গত সপ্তাহে। তাই পাশের রেলওয়ের কলোনিতে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে বসেছে ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে মূলা, শালগম ও পেঁপে এই তিনটি সবজির দাম তুলনামূলক কম। এই তিনটি সবজির কেজি ৫০ টাকার মধ্যে রয়েছে।

একাধিক সবজির দোকান ঘুরে দেখা গেছে, মাঝারি আকারের প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। করলার কেজি ৯০ থেকে ১০০ টাকা। কাঁচা মরিচের কেজি ১০০ টাকার আশপাশে।

ঝিঙে ও ধুন্দুলের দাম বেড়ে কেজি ৮০ থেকে ৯০ টাকা। আলুর কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা। সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে বেগুন। প্রতি কেজি বেগুনের দাম পড়ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা। লাউয়ের দামেও সেঞ্চুরি।

বড় আকারের প্রতিটি লাউ ১০০ টাকার বিক্রি হচ্ছে। দরদাম করে নিলে কোথাও কোথাও হয়ত ১০ টাকা কমে পাওয়া যাচ্ছে। মানভেদে টমেটোর কেজি রাখা হচ্ছে ৬০ থেকে ৯০ টাকা।

মানভেদে শিমের কেজি পড়ছে ৭০ থেকে ৯০ টাকা। দরদাম করে কিনলে কিছুটা কমে পাওয়া যাচ্ছে। আর শিমের বিচি বিক্রি হচ্ছে কেজি ২০০ টাকায়।

বাজারে নেই মনিটরিং, বাড়তি মাছ-মাংস-ডিমের দাম-

ব্যবসায়ীরা বলছেন, সাধারণ সবজির সিজনে আলুর দাম ২০ টাকার মধ্যে থাকত। এবার আলুর দামও বেশি। অন্যান্য সবজির দাম কমছে না।

সবজির পাশাপাশি বাজারে মাছের দামও চড়া। খিলগাঁওয়ের আশপাশের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মাঝারি আকারের চাষের রুই প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা এবং আকারভেদে তেলাপিয়া ও পাঙাশ ২২০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আর কই ২০০ টাকা, শোল ৩০০ টাকা, শিং মাছ কেজি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর বড় কাতল ৬০০ টাকায় এবং রুই ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এলাকার বাসিন্দা মো. নুরুজ্জামান বলেন, আগে দেখেছি শীতের শুরুতে নতুন সবজির দাম বেশি থাকত। পরে খুব দ্রুত দাম কমে যেত। কিন্তু এবার সেটা হয়নি। পুরো সবজির মৌসুমে দাম ছিল অফ সিজনের মতো, এটাই অবাক করার বিষয়।

তিনি আরও বলেন, মাছ-মাংস তো এখন বিলাসী ভোগ্যপণ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারপরও বাজার খুঁজে কম দামে কিছু পাওয়া গেলে কিনি। না হলে নাই।

এদিকে আজ খিলগাঁও কাঁচাবাজারে গিয়ে ঘুরে আসতে হচ্ছে অনেক ক্রেতাকে। কারণ, অনেকেই জানেন না বাজার উচ্ছেদ করা হয়েছে।

এর ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে এ বাজারে আসা ক্রেতাদের। এছাড়া কাঁচাবাজারের দোকানিরা আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে বসেছে। এক জায়গায়ও মিলছে না সব বাজার।

খিলগাঁও কাঁচাবাজারে আসা ব্যাংক কর্মকর্তা রিতম হাসান বলেন, আমি জানতামই না বাজার উচ্ছেদ করা হয়েছে। এসে দেখি সব খালি। এখন আশপাশের একাধিক জায়গা ঘুরে প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে হচ্ছে। এত ভোগান্তি হবে জানলে এ বাজারেই আসতাম না।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গরুর মাংস ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। মুরগি গত সপ্তাহে ২০০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হলেও কেজিপ্রতি ১০ টাকা কমে এখন ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজার করতে আসা রিপন আহমেদ বলেন, কিছুদিন গরুর মাংসের দাম মোটামুটি ভালোই ছিলো। কিন্তু এখন আবার দাম বেড়েছে। আর গরু কেনার সাহস নেই।

বাজারের মুরগি বিক্রেতা আলীম মিয়া জানান, মুরগির দাম খুব একটা ওঠানামা করেনি। মাঝে মুরগির দাম কিছুটা বাড়লেও এখন আবার কমে গেছে। তবে মুরগির বাজারে সবসময়ই ১০-২০ টাকা এদিক সেদিক হয়।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে