বাড়তি লাভের আশায় অপরিপক্ক পেঁয়াজ তুলছেন সুজানগরের চাষিরা
এম এ আলিম রিপন, সুজানগর : বাজারে বর্তমানে অতিরিক্ত চাহিদা ও বাড়তি লাভের আশায় পরিপক্ক হওয়ার আগেই মাঠ থেকে পেঁয়াজ তুলতে শুরু করেছেন দেশের উত্তরবঙ্গের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ উৎপাদনকারী এবং দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম পেঁয়াজ উৎপাদনকারী পাবনার সুজানগর উপজেলার চাষিরা।
শনিবার সরেজমিন তাঁতিবন্দ ও মধুপুর সহ উপজেলার গাজনার বিলের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মাঠ থেকে পেঁয়াজ উঠাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। এ সময় মাঠে পেঁয়াজ উঠাতে ব্যস্ত পোড়াডাঙ্গা গ্রামের কৃষক আলাল হোসেন বলেন,এখন দাম বাড়তি দেখে আমরা মাঠ থেকে পেঁয়াজ তুলে ফেলছি। এ পেঁয়াজ বিক্রি করতে আমাদের এখন আর হাট-বাজারে যেতে হচ্ছেনা। ব্যাপারীরা এসে কৃষকদের বাড়ি থেকেই বর্তমানে ৩৮০০-৪০০০ টাকা মণ দরে পেঁয়াজ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। অপর কৃষক আব্দুল বাতেন জানান, পেঁয়াজ এখনো পুরোপুরি পরিপক্ক হয়নি, যে কারণে আকারে একটু ছোট। আরো অন্তত সপ্তাহ দুয়েক মাঠে থাকলে ঠিক হইত এটা। এদিকে বিভিন্ন হাট বাজারে ব্যাপক নতুন এই চারা পেঁয়াজ উঠতে শুরু করেছে।
মানভেদে এ নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে মণ প্রতি ৩৮০০-৪০০০ টাকায়। সুজানগর উপজেলা কৃষি বিভাগ সুত্রে জানাযায়, গত বছর সুজানগরে ১৭ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে চারা পেঁয়াজের আবাদ হলেও এবারে এই উপজেলায় পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে ১৭ হাজার ৭২০ হেক্টর জমিতে। অনুকূল আবহাওয়া ও সঠিক সময়ে সার বীজ দিতে পারায় কৃষকেরা প্রতি বিঘা জমি থেকে উচ্চ ফলনশীল চারা থেকে ৮০ থেকে ৯০ মণ এবং হাইব্রিড জাতের চারা থেকে ১০০-১২০ মণ পর্যন্ত পেঁয়াজ এবারে ঘরে তুলতে পারবে।
শনিবার বোনকোলা হাটে পেঁয়াজ বিক্রি করতে আসা কৃষক জিয়াউর রহমান বলেন, চারা পেঁয়াজ উৎপাদন করতে প্রতি বিঘায় তাদের শ্রমিক, সার, বিষসহ যে পরিমাণ টাকা খরচ হয়েছে আর বর্তমানে তারা যে দামে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন তাতে অনেকটাই লাভবান হচ্ছেন। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রাফিউল ইসলাম শনিবার যুগান্তরকে জানান, নতুন এ চারা পেঁয়াজ আগামী পনের থেকে বিশ দিনের মধ্যে পুরোপুরিভাবে কৃষকেরা মাঠ থেকে উঠানো শুরু করলে আস্তে আস্তে পেঁয়াজের দাম অনেক কমে আসবে।