যাদের ফিতরা দিলে সওয়াব বেশি

প্রকাশিত: মার্চ ২২, ২০২৪; সময়: ১০:৪৪ পূর্বাহ্ণ |
খবর > ধর্ম
যাদের ফিতরা দিলে সওয়াব বেশি

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : ফিতরা ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে না থাকলেও এটির গুরুত্বও অনেক। জাকাত অর্জিত সম্পদের পবিত্রতা রক্ষার জন্য আর ফিতরা রমজান মাসে রোজাদারদের ভুল-ত্রুটির কাফ্ফারা ও সাদাকাহ সাদাকাহ হিসেবে দেওয়া হয়।

সদকাতুল ফিতর’ দুটি আরবি শব্দ। সদকা মানে দান, আর ফিতর মানে রোজার সমাপন বা ঈদুল ফিতর। অর্থাৎ ঈদুল ফিতরের দিন আদায় করা সদকাকেই সদকাতুল ফিতর বলা হয়।

হজরত আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা.) বলেন, রাসূল (সা.) জাকাতুল ফিতর অপরিহার্য করেছেন অনর্থক ও অশ্লীল কথাবার্তা দ্বারা সিয়ামের যে ত্রুটিবিচ্যুতি হয়েছে তা থেকে পবিত্র করা এবং মিসকীনদের খাদ্য প্রদানের জন্য। ঈদের নামাজের পূর্বে আদায় করলে তা জাকাতুল ফিতর হিসাবে গণ্য হবে।

আর ঈদের নামাজের পর আদায় করলে তা অন্যান্য সাধারণ দানের মত একটি দান হবে। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৬০৯; ইবন মাজাহ, হাদিস : ১৮২৭; মুস্তাদরাকে হাকেম; ১/৪০)

কোরআন মাজিদে জাকাত ব্যয়ের নির্দিষ্ট আটটি খাত উল্লেখ রয়েছে। সদকাতুল ফিতর, ওয়াজিব সদাকাত, ফিদিয়া, কাফ্ফারা ও মান্নত ব্যয়ের খাতও এগুলো।

আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘মূলত সদকা হলো ফকির, মিসকিন, জাকাতকর্মী, অনুরক্ত ব্যক্তি ও নওমুসলিম, ক্রীতদাস, ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি, আল্লাহর পথে (ইসলামের সুরক্ষার জন্য) ও বিপদগ্রস্ত বিদেশি মুসাফির ও পথ সন্তানদের জন্য। এটি আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত। আর আল্লাহ সর্বজ্ঞানী ও পরম কৌশলী।’ (সুরা-৯ তওবা, আয়াত: ৬০)

সদকাতুল ফিতর ওয়াজিব এমন ব্যক্তির আপন ভাইবোন, ভাগনে-ভাগনি, ভাতিজা-ভাতিজি, চাচা-জেঠা–ফুফু, মামা-খালা; চাচাতো-জেঠাতো ভাইবোন, ফুফাতো ভাইবোন, মামাতো-খালাতো ভাইবোন এবং অন্য নিকটাত্মীয় যদি নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক না হন, তাহলে তাদেরকেও সদকাতুল ফিতর, ওয়াজিব সদাকাত, ফিদিয়া, কাফ্ফারা ও মান্নত দেওয়া যাবে; বরং তাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে।

হাদিসে আছে নিকটাত্মীয়দের দান করলে দ্বিগুণ সওয়াব হয়-প্রথমত, দানের সওয়াব; দ্বিতীয়ত, আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষার সওয়াব।

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে