হেড অ্যান্ড নেক ক্যান্সারের লক্ষণ কী, কীভাবে চিকিৎসা হয়
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : মানুষের মাথা থেকে ঘাড় পর্যন্ত অন্তত ৩০টি অংশের ক্যান্সারকে একসঙ্গে হেড অ্যান্ড নেক ক্যান্সার বলা হয়ে থাকে। প্রাথমিক অবস্থায় রোগটি নির্ণয় হলে এবং সঠিক সময় চিকিৎসা নিলে সব বয়সী রোগীর শতভাগ সেরে ওঠা সম্ভব। কিন্তু দেরিতে শনাক্ত হলে এর ফল মারাত্মক হতে পারে।
লক্ষণ-
মাথা ও ঘাড়ের একেকটি অংশের ক্যান্সারের ক্ষেত্রে একেক ধরনের লক্ষণ দেখা দেয়। তাই নীচের লক্ষণের কোনো একটি বা একাধিক দেখা দিলে এবং ১৫ দিনেও না সারলে দেরি না করে একজন নাক কান গলা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে বলছেন চিকিৎসকরা।
১. গলায় দীর্ঘসময় ধরে ব্যথা, খাবার চিবিয়ে খেতে বা গিলতে কষ্ট
২. শ্বাস নিতে কষ্ট, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, শ্বাস নিতে গেলে শব্দ হওয়া, গন্ধের অনুভূতি কমে যাওয়া
৩. অবিরাম কাশি
৪. গালে, জিহ্বায় বা মুখ গহ্বরে কোথাও কোনো সাদা বা লাল ক্ষত হওয়া, যা দুই সপ্তাহ পরেও সারছে না
৫. দীর্ঘদিন সর্দি, নাক থেকে রক্তক্ষরণ
৬. গলার স্বর পরিবর্তন হয়ে যাওয়া, কথা বলতে কষ্ট হওয়া
৭. মুখের কোনো অংশ যেমন চোখের ওপরে, ঘাড়ে, গলায়,নাকের চারপাশ, কানের আশপাশ বা চোয়াল ফুলে যাওয়া বা মুখের এক পাশ ফুলে যাওয়া, যা দীর্ঘদিনেও সারছে না
৮. মুখে ব্যথা, মুখ খুলতে সমস্যা, মুখে অসারতা বা মুখ ঝুলে যাওয়া
৯. কানে ব্যথা, এক কানে শুনতে সমস্যা
১০.দাঁতে ব্যথা
১১. থেমে থেমে জ্বর ও দীর্ঘদিন মাথাব্যথা
চিকিৎসা কী?
চিকিৎসা দেওয়ার আগে চিকিৎসকরা মূলত রোগীর ইতিহাস জেনে নিয়ে থাকেন যে, কবে থেকে এসব লক্ষণ প্রকাশ পেয়েছে।
এরপর কোন অংশে ক্যান্সার সেই তথ্যের ভিত্তিতে শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়। সিটি স্ক্যান, এমআরআই, পিটিই, ন্যাজো অ্যান্ডোস্কোপি, সেইসাথে রক্ত ও প্রস্রাবের বিভিন্ন পরীক্ষা করানো হয়।
পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচার করতে পারেন এবং বায়োপসি করানো হতে পারে। প্রয়োজন হলে কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি, ইমিউনোথেরাপি চলে।
তবে ক্যান্সার একবার সেরে উঠলেও পুনরায় ফিরে আসতে পারে। এজন্য চিকিৎসকরা ক্যান্সার থেকে সেরে ওঠার পর পরবর্তী চেক আপ অব্যাহত রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।