বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

প্রকাশিত: মার্চ ২৬, ২০২৪; সময়: ১১:০৮ পূর্বাহ্ণ |
বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক : আজ ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। বাঙালি জাতির পরম গৌরবের দিন। স্বাধীন বাংলাদেশ পা রাখলো ৫৪ বছরে। ১৯৭১ সালের এই দিনে হাজার বছরের সংগ্রামী বাঙালি জাতি পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে স্বাধীনতা অর্জন করে। অত্যাচার-অবিচার-নিপীড়নে জর্জরিত বাঙালি জাতির সামনে আলোকময় ভবিষ্যতের দুয়ার খুলে যায়। বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি নতুন রাষ্ট্রের আত্মপ্রকাশ ঘটে।

মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করেছে। দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে সূর্যোদয়ের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর সকাল ১০টায় উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. আনন্দ কুমার সাহার নেতৃত্বে শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বরের পূর্ব দিক থেকে শুরু হয়ে অস্থায়ী শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়। পরে শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এর পরপরই শুরু হয় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

আইন ও মানবাধিকার বিভাগের প্রভাষক রুবাইয়া এলিন সুধার সঞ্চালনায় আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. আনন্দ কুমার সাহা। মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ গবেষণা ইনিস্টিটিউটের ডিস্টিংগুইসড প্রফেসর ড. মো. মাহবুবর রহমান।

মহান স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা অংশে ড. মো. মাহবুবর রহমান স্মরণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যাঁর অবিসংবাদিত নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। তিনি বলেন, ‘জাতির পিতার স্বাধীনতার ডাকে সাড়া দিয়ে দীর্ঘ নয় মাসের সশস্ত্র সংগ্রাম ও ৩০ লাখ শহিদের প্রাণের বিনিময়ে আমাদের মহান স্বাধীনতা অর্জিত হয়। বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসলে আমরা দেশকে ভালোবাসতে পারবো। বঙ্গবন্ধুর জীবনচর্চা, কর্ম, চিন্তাভাবনা, সততা, উদারতার অনুরণন যদি চিত্তে ঘটে তবে সেটিই হবে দেশকে ভালোবাসা। প্রত্যেককে বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা গড়তে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করতে হবে এবং প্রকৃত দেশ প্রেমিক হতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর ড. আনন্দ কুমার সাহা বলেন, ‘স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রাণ দিয়েছেন, সকল বীর সন্তানের প্রতি আমার বিনম্র শ্রদ্ধা। ১৯৪৭ সাল থেকে শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীনতার কথা চিন্তা করেন। ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তার সংগ্রাম শুরু হয়। এরপর ১৯৬৬ সালে ছয় দফা ও ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান ও ১৯৭০ সালের নির্বাচনের পর দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের বিনিময়ে আমাদের এই স্বাধীনতা। বর্তমান প্রজন্মকে ১৯৭১-এর চেতনায় উজ্জীবিত করতে হবে। ধর্র্ম-বর্ণ না দেখে সকলকে মানুষ ও দেশের জন্য কাজ করতে হবে।’ তিনি অতিথি, আয়োজক কমিটি ও উপস্থিত সকলের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্যে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. ফয়জার রহমান বলেন, ‘আমরা স্বাধীন হয়েছি, আমাদের মুক্তচিন্তার অধিকারীও হতে হবে। লাখো শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে নতুন প্রজন্মকে স্বাধীনতার ইতিহাস ও আত্মত্যাগ সম্পর্কে আরো বেশি জানতে হবে। স্বাধীনতাকে ধারণ করে দক্ষ সৈনিক হিসেবে গড়ে উঠতে হবে বর্তমান প্রজন্মকে।’

এছাড়াও অনুষ্ঠানে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. মো. শহীদুর রহমান বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান শেষে মুখ্য আলোচককে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। অন্যান্যদের মধ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সুরঞ্জিত মন্ডল, বিভিন্ন স্কুলের ডীন, বিভাগীয় প্রধান, কো-অর্ডিনেটরসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।

 

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে