মান্দায় অবৈধ ইটভাটায় পোড়ানো হচ্ছে জ্বালানি কাঠ

প্রকাশিত: এপ্রিল ১, ২০২৪; সময়: ৮:০৮ অপরাহ্ণ |
মান্দায় অবৈধ ইটভাটায় পোড়ানো হচ্ছে জ্বালানি কাঠ

নিজস্ব প্রতিবেদক, মান্দা (নওগাঁ) : নওগাঁর মান্দায় এমএসবি ব্রিকস নামের একটি ইটভাটায় জ্বালানি কাঠ দিয়ে এবারও ইট পোড়ানোর কাজ করা হচ্ছে। ইটভাটার লাইসেন্স কিংবা পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না থাকলে দেদারচ্ছে কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানো কাজ করছেন ভাটামালিক রকিবুল ইসলাম।

উপজেলা সদর থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দুরে এমএসবি ব্রিকস নামের ভাটাটির অবস্থান। ভাটাসংলগ্ন রাস্তা দিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা প্রতিদিন যাতায়াত করেন। কিন্তু তেমন নজরদারি চোখে পড়ে না। উপজেলা ইটভাটা মালিক প্রুপের নিষেধকেও তোয়াক্কা করছেন না ভাটামালিক রকিবুল ইসলাম।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ভাটাটিতে মাঝে মধ্যেই পরিবেশ অধিদপ্তরের লোকজনকে আসা-যাওয়া করতে দেখা যায়। এর পরও কীভাবে ওই ভাটায় কাঠ পোড়ানো হয় এনিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। তাঁদের দাবি পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই অনুমোদনহীন ওই ইটভাটায় কয়লার পরিবর্তে কাঠ দিয়ে চলছে ইট পোড়ানোর কাজ।
এসব বিষয়ে জানতে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করা হয় পরিবেশ অধিদপ্তর নওগাঁর সহকারী পরিচালক মলিন মিয়ার সঙ্গে। দৈনিক আজকের পত্রিকার পরিচয় পেয়ে তিনি বলেন, ‘এ নামের কোনো পত্রিকা প্রকাশ হয় এটি আমার জানা নেই। একটি কপি আমার অফিসে পাঠিয়ে দেন। এর পর ভেবে দেখবো আপনাকে তথ্য দেওয়া যাবে কি না। এই বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

এদিকে আজ সোমবার বিজয়পুর এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে এমএসবি নামের ওই ইটভাটায় দেদারচ্ছে পোড়ানো হচ্ছে জ্বালানি কাঠ। এর উত্তরপাশে স্তুপ করে রাখা হয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির জ্বালানি কাঠ। ভাটার ওপরে গাছের খড়ি দেখা যায়। পশ্চিম দিকে কিছু কয়লার মজুত চোখে পড়লেও তা ছিল অতি সামান্য।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার একাধিক বাসিন্দা বলেন, ভাটাটিতে মাঝে মধ্যেই অপরিচিত লোকজনকে যাতায়াত করতে দেখা যায়। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায় আগন্তÍকরা ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের লোকজন। তাঁরা আসেন ইটভাটা ঘুরে দেখেন আবার চলেও যান।

কিন্তু বন্ধ হয়নি জ্বালানি কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানোর কাজ। এর ফলে অতিরিক্ত ধোঁয়ায় হুমকির মুখ পড়েছে এলাকার পরিবেশ। আশপাশের আমসহ বিভিন্ন ফলদ বাগানের উৎপাদনও কমে গেছে।

এ বিষয়ে ভাটামালিক রকিবুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইলফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও রিসিভ হয়নি। ভাটাতে গিয়েও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

জানতে চাইলে মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লায়লা আঞ্জুমান বানু বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে