পুঠিয়ার ঝলমলিয়ায় শরীফা ক্লিনিকে ভূল চিকিৎসায় ২ রোগীতে মেরে ফেলার অভিযোগ

প্রকাশিত: এপ্রিল ৪, ২০২৪; সময়: ৮:১৪ অপরাহ্ণ |
পুঠিয়ার ঝলমলিয়ায় শরীফা ক্লিনিকে ভূল চিকিৎসায় ২ রোগীতে মেরে ফেলার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, পুঠিয়া (রাজশাহী) : রাজশাহীর পুঠিয়ার ঝলমলিয়া বাজারে শরীফা ক্লিনিকে ভূল চিকিৎসায় দুই জন রোগী মেরে ফেলার অভিযোগ। এ ব্যাপারে গত ৩১ মার্চ নাটোর চন্দনপুর গ্রামের রাকিবুল ইসলাম বাদি হয়ে রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, রাজশাহী সিভিল সার্জন, পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুঠিয়া হাসপাতালের উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আলী মাজরুই রহমান গত ৩১ মার্চ জুনিয়ার কনসালটেন্ট মেডিসিন ডাঃ মোহাম্মদ মতিউর রহমান কে সভাপতি, জুনিয়ার কনসালটেন্ট গাইনী ডাঃ রহিমা খাতুন কে সদস্য এবং জুনিয়ার কনসালটেন্ট এ্যানেস্থেসিয়া বিধান কুমার ফৌজদার কে সদস্য সচিব করে তদন্ত কমিটি গঠন করে। বর্তমানে তদন্ত চলমান রয়েছে।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার ঝলমলিয়া বাজারে অবস্থিত শরীফা ক্লিনিকে ভূল চিকিৎসায় দুই জন রোগী মেরে ফেলার অভিযোগ। গত ১৩ মার্চ নাটোর জেলার জালালাবাদ গ্রামের জিয়াউর আলীর মেয়ে এবং আজিজুল ইসলামের স্ত্রী জেসমিন (১৯) কে ডায়রিয়া চিকিৎসা ও বাচ্চা প্রসবের জন্য ভর্তি করে। এ সময় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ গাইনী ডাঃ চন্দনা এবং অজ্ঞানের কথিত ডাঃ অবিনাশ দ্রুত অপারেশন করা না হলে বাচ্চা ও তার মা দুই জনই মারা যাবে বলে ভয়ভীতি দেখিয়ে আমাদের আপত্তি উপেক্ষা করে অপারেশন করে। কিছুক্ষণ পর রোগীর পেট থেকে বাচ্চা বের করে কেবিনে দিলেও রোগীকে আর বের করা হয় না।

অপারেশন চলাকালেই রোগী আরো দুইবার পায়খানা করে এবং অপরেশন থিয়েটারে রোগী মারা যায়। পরে দ্রুত রোগীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে।

অপরদিকে গত ১৯ মার্চ নাটোর জেলার বীরাহিমপুর কটিপাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের স্ত্রী মাজেদা বেগম (৪২) কে একই ক্লিনিকে ভূল চিকিৎসাই মৃত্যু হয়। সেখানে অপারেশন করেন এমএস কোর্সের চলমান শিক্ষার্থী ডাঃ সুব্রত ঘোষ ও ডিএ কোর্সের ডাঃ অবিনাশ। তারা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কোর্সের প্রশিক্ষণ করছেন। আর প্রশিক্ষণ রত অস্থায় প্রাইভেট ক্লিনিকে তারা অপারেশন করতে বা রোগী দেখতে পারবে না।

আইন অমান্যকারীদের তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী করেছেন অভিযোগ কারীরা।

ডাঃ সুব্রত ঘোষের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আপনি তো ডাক্তার না আপনি কী বুঝবেন। আমার বক্তব্য আপনার যা ভালোলাগে তাই লিখেন।

ডাঃ অবিনাশের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করে নি।

পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ কে এম নূর হোসেন নির্ঝর জানান, অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

 

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে