বাগমারায় কে হচ্ছেন আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী

প্রকাশিত: এপ্রিল ৬, ২০২৪; সময়: ৩:৪৯ অপরাহ্ণ |
বাগমারায় কে হচ্ছেন আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী

নিজস্ব প্রতিবেদক: দ্বিতীয় ধাপে ১৬১ উপজেলা পরিষদে ২১ মে ভোটের তারিখ রেখে তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এসব উপজেলায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ২৩ এপ্রিল, প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল।

চেয়ারম্যান, সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাধারণ নির্বাচন হবে এসব উপজেলায়। এর মধ্যে রয়েছে রাজশাহী জেলার তিনটি উপজেলা। এগুলো হল- বাগমারা, দুর্গাপুর ও পুঠিয়া উপজেলা। এসব উপজেলায় কে কোন পদে প্রার্থী হচ্ছেন তা নিয়ে চলছে জল্পনা কল্পনা। বিশেষ করে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের কে কে প্রার্থী হচ্ছেন সেদিকে নজর সবার।

রাজশাহী জেলার সবচেয়ে বড় উপজেলা বাগমারা। ১৬টি ইউনিয়ন ও দুইটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত এ উপজেলা। এ উপজেলায় এবার চেয়ারম্যান প্রার্থী হতে চান আওয়ামী লীগের দুই নেতা। এরা হলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাকিরুল ইসলাম সান্টু ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি ও শ্রীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন মৃধা।

বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সূত্রগুলো বলছে, এবারের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীতার তালিকায় জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন জাকিরুল ইসলাম সান্টু ও মকবুল হোসেন মৃধা। তবে নতুন মুখের পক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগের একটি বড় অংশ। তারা নতুন মুখ হিসেবে মকবুল মৃধাকেই প্রার্থী দেখতে চান।

আবার অপর পক্ষ বলছেন, সান্টুর কোন বিকল্প নাই। বাগমারা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সান্টু একটা বড় ফ্যাক্টর। ফলে এবারের উপজেলা নির্বাচনে সান্টুর জয়পরাজয়ের মেরুকরণে আছে বাগমারার রাজনীতির আরো অনেক হিসাব-নিকাশ।

যোগাযোগ করা হলে মকবুল হোসেন মৃধা বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের অনেকেই আমাকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য বলেছেন। আমি এখনো চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি। তবে উপজেলা আওয়ামী যদি সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাকে সমর্থন দেয় তা হলে আমি নির্বাচন করবো।

জাকিরুল ইসলাম সান্টু বলেন, এবার আমি উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে চাই। উপজেলা নির্বাচনে এবার দল থেকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না। ফলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে আমি নির্বাচনে অংশ নিব। দল থেকে মনোনয়ন দিলে আমিই দলীয় মনোনয়ন পেতাম।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য জাফর আলী মাষ্টার বলেন, এবার দলীয়ভাবে মনোনয়ন দেওয়া হবে না। দলের হাই কমান্ড থেকে এমন ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বলে আমরা স্থানীয়ভাবে বসে সিদ্ধান্ত নিব। বিশেষ করে সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ আবুল কালম আজাদ যাকে সমর্থন দিবেন উপজেলা আওয়ামী লীগ তার পক্ষেই কাজ করবে।

১৯৮৫ সালে উপজেলা পরিষদ চালু হওয়ার পর ১৯৯০ ও ২০০৯ সালে একদিনেই ভোট হয়েছিল। ২০১৪ সালে চতুর্থ উপজেলা নির্বাচন ছয়টি ধাপে ও ২০১৯ সালে পাঁচ ধাপে পঞ্চম উপজেলা পরিষদের ভোট হয়।

প্রথম চারটি উপজেলা নির্বাচন নির্দলীয়ভাবে হলেও আইন সংশোধন হওয়ায় ২০১৭ সালের মার্চে মেয়াদোত্তীর্ণ তিনটি উপজেলায় দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হয়েছিল। পরে ২০১৯ সালে দলীয় প্রতীকে পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন হয়।

দশম সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিলেও বিএনপি পরে নির্দলীয় উপজেলা ভোটে অংশ নিয়েছিল। গেল ১০ বছর ধরে উপজেলা ভোটে দলীয় প্রার্থী দেয়নি দলটি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বর্জন করার পর এবার স্থানীয় নির্বাচনেও অংশ না নেওয়ার দলীয় সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে রেখেছে তারা। ফলে ধরে নেয়া হচ্ছে বাগমারায় এবারও বিএনপির কোন নেতা প্রার্থী হচ্ছেন না।র

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে