পুঠিয়ায় অনুমতি ছাড়াই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গাছ কাটার অভিযোগ

প্রকাশিত: এপ্রিল ৯, ২০২৪; সময়: ৫:১৩ অপরাহ্ণ |
পুঠিয়ায় অনুমতি ছাড়াই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গাছ কাটার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, পুঠিয়া : সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার জামিরা উচ্চ বিদ্যালয়ের গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে।

ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদ ও বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আফাজ্জুল হকের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগে বলা হয়েছে, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদ ও বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আফাজ্জল হক বিদ্যালয় থেকে ৭টি শিশু ও ইপি লিপি গাছ কেটে তারা সেখানে ফুল গাছ লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী কোনো সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের গাছ কাটতে হলে প্রশাসনের অনুমতি নিতে হয়। প্রশাসনের কোন অনুমতি না নিয়ে এসব গাছ কাটা হয়েছে।

ফলে বিদ্যালয়ের সৌন্দর্য ও পরিবেশ নষ্ট হয়েছে। এতে শিক্ষার্থী-অভিভাবক ও এলাকার সাধারণ জনগণের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে।

পুঠিয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা লায়লা আক্তার জাহান জানান, ঐ এলাকার একজন তাকে ফোন করে জানালে তিনি প্রধান শিক্ষককে ফোনে গাছ কাটতে নিষেধ করেন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন আনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গাছ কাটতে হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, শিক্ষা কর্মকর্তা ও বন বিভাগের কাছে লিখিত আবেদন করতে হয়। সংশ্লিষ্ট বিভাগ অনুমোদন দিলেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গাছ কাটা যাবে। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে তিনি জানান।

কোন প্রকার অনুমতি ছাড়া গাছ কাটার কথা স্বীকার করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদ বলেন, ‘স্কুলের গেটের পাশ দিয়ে ফুল গাছ লাগানোর জন্য ম্যানেজিং কমিটির সাথে আলোচনা করে গাছগুলো কাটা হয়েছে। গাছগুলো বিক্রি করা হয়নি। এতে ১০ থেকে ১২ মন শুধু খড়ি হতে পারে।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আফাজ্জল হক গাছ কাটার কথা স্বীকার করে বলেন, ম্যানেজিং কমিটির লোকজন এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে পরামর্শ করে রেজুলেশনের মাধ্যমে গাছগুলো কাটা হয়েছে।

তবে আমি হেড স্যারকে বলেছিলাম প্রশাসনের অনুমতি নিতে। কিন্তু স্কুল ছুটি থাকায় আমি রেজুলেশনে স্বাক্ষর করতে পারিনি। তবে ৭ টি গাছ বিক্রি করা হয়েছে ২৪০০ শত টাকায়। এই টাকা স্কুল ফান্ডে জমা হবে।

উপজেলা বন কর্মকর্তা আহমদ নিয়ামুর রহমান বলেন, ‘গাছ কাটার ব্যাপারে আমাদের কাছে কেউ কোন আবেদ করেনি। বিষয়টি আমার জানা নেই।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ কে এম নূর হোসেন নির্ঝর জানান রেজুলেশন বা অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে