দুই পক্ষের সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আ.লীগ নেতা নিহত

প্রকাশিত: এপ্রিল ১২, ২০২৪; সময়: ১০:১৪ পূর্বাহ্ণ |
দুই পক্ষের সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আ.লীগ নেতা নিহত

পদ্মাটাইমস ডেস্ক :  বাগেরহাটে চিতলমারীতে দুই পক্ষের সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে মোজাফফর হোসেন খান (৬৬) নামে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এক নেতা নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার উপজেলার কাননচক বাজার এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

নিহত মোজাফফর হোসেন খান কাননচক গ্রামের বাসিন্দা এবং চিতলমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় তানভীর আহম্মেদ মাটি বলেন, হিজলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের শীর্ষ এক নেতার বিবাহিত মেয়ের সঙ্গে পরকীয়া রয়েছে, এমন অভিযোগে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে কাননচক গ্রামের সজিব খান নামের এক যুবককে তুলে নিতে আসেন হিজলা এলাকার কাজী শাহেদসহ কয়েকজন। এ সময় কাননচক গ্রামের লোকজন একজোট হয়ে কাজী শাহেদসহ তুলে নিতে আশা লোকজনকে বেধড়ক মারধর করে। পরে কাজী শাহেদের নেতৃত্বে তারা হিজলা এলাকায় ফিরে যায়।

তিনি আরও বলেন, ‘পরে হিজলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী আবু শাহীন ও আওয়ামী লীগ নেতা লিটন কাজীর নেতৃত্বে দেড় থেকে দুইশ জন লোক কাননচক গ্রামে আসেন। তখন কলাতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. বাদশা মিয়া শেখের নেতৃত্বে কাননচক এলাকার লোকজন এক হয়। তখন দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইট-পাটকেল ছোড়াছুড়ি হয়। এতে কয়েকজন আহত হন। এ সময় গুরুতর আহত আওয়ামী লীগ নেতা মোজাফফর খানকে টুঙ্গিপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

কলাতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. বাদশা মিয়া শেখ বলেন, হিজলার লোকজন ঝামেলা করার জন্য ঢাল-শর্কি নিয়ে এসেছিল। পুলিশের সামনেই ঘটনা ঘটেছে। আমি উত্তেজনা থেমে যাওয়ার পরে আসছি।

ঘটনার পর থেকেই আওয়ামী লীগ নেতা লিটন কাজী ও হিজলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী আবু শাহীনের মোবাইল ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে চিতলমারী থানার ওসি মো. ইকরাম হোসেন বলেন, নারীঘটিত বিষয়কে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে দুই পক্ষ যার যার স্থানে চলে যাওয়ার সময়, এক ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাকে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও বলেন, তবে কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন নিহত ব্যক্তিকে চড়-থাপ্পড় মারা হয়েছিল। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে নিহতের মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে