রাজশাহীতে পুলিশ সদস্যর বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৩, ২০২৪; সময়: ৭:১৪ অপরাহ্ণ |
রাজশাহীতে পুলিশ সদস্যর বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীতে আলমগীর হোসেন নামের এক পুলিশ সদস্যসের বিরুদ্ধে যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্ত্রীকে নির্যাতন করে তালাক দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি পুলিশ সদস্য আলমগীর হোসেন গোদাগাড়ীর সরমংলা এলাকার মাজেদ আলীর ছেলে তার স্ত্রী উপজেলার মাদারপুর গ্রামের মনিরুলের মেয়ে মিমিকে যৌতুকের টাকা না পেয়ে তালাক দেন। আলমগীর বর্তমানে রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমির অতিরিক্ত ডিআইজির গাড়ির ড্রাইভার। এ ঘটনায় মিমি জেলার গোদাগাড়ী আমলী আদালতে পুলিশ সদস্য আলমগীরের বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা দায়ের করে। মামলা নং ১৬২-সি/ ২০২৪। আগামী ৬ জুন আসামীকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।

এদিকে, মামলা করার পর থেকে বিভিন্ন ভাবে বাদি ও তার পরিবারকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ মামলার বাদির। এ ঘটনায় রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাননি ভুক্তভোগী।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গোদাগাড়ী উপজেলার মাদারপুর গ্রামের মনিরুলের মেয়ে মিমিকে ৩১ হাজার টাকা দেন মোহরে পুলিশ সদস্য আলমগীর বিয়ে করে গত ২০২৩ সালের ১ মার্চ। তিনি বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন ভাবে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন করতেন। র্দীঘদিন স্ত্রী নির্যাতন সহ্য করেও তার সাথে ঘর সংসার করেন ও তাদের একটি পুত্র সন্তাও রয়েছে। সাম্প্রতিক গত ২০২৩ সালের ৭ ডিসেম্বর ৫ লাখ টাকা যৌতুকের টাকার জন্য আলমগীর তার স্ত্রী ও তার পরিবারের কাছে দাবি করেন। যৌতুকের টাকা দিতে আস্বীকার করলে তার স্ত্রী ও নাবালক পুত্র সন্তানকে বাড়ি থেকে বের করে দেন।

অপরদিকে, গত ১৬ জানুয়ারি গোদাগাড়ী উপজেলার সরমংলা গ্রামের মজিদের ছেলে পুলিশ সদস্য আলমগীরের এক ভাই মাদক কারবারির বাড়িতে র‌্যাব-৫ এর কোম্পানী কমান্ডার মারুফের নেতৃত্বে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে কোন মাদক উদ্ধার করতে পরেনি র‌্যাব সদস্যরা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আলমগীর তার স্ত্রী ও শ্বশুরকে দাই করে ১৪ লাখ টাকা ক্ষতিপুরণ দাবী করে। একটি কল রেকোর্ডে শোনা আলমগীর তার স্ত্রীকে বলছে, তোর বাপ আমার বাড়িতে র‌্যাব পাঠাইছে। এ জন্য আমার ১৪ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিপুরনের টাকা দাবি করে তার শ্বশুরের কাছে থেকে পুলিশ সদস্য আলমগীর। এ ঘটনায় মনিরুল ইসলাম গত ১৫ এপ্রিল র‌্যাব-৫ সিইও বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

এ বিষয় পুলিশ সদস্য আলমগীর হোসেন বলেন, কোন যৌতুকের দাবি আমি করিনি। যৌতুকের টাকা না দেয়াই আমার স্ত্রীকে তালাক দিয়েছি এ অভিযোগ মিথ্যা। পরোকিয়ার জের ধরে নিরুপায় হয়ে তালাক দিয়েছি। তার পরেও আমার সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে সমাধান করতে চাই। এ বিষয় সমাধানের জন্য পৌর সভায় লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে।

 

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে