গোদাগাড়ীতে বিএনপি নেতার নির্বাচনী ক্যাম্প নির্মাণে বাধা

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৭, ২০২৪; সময়: ১২:৫৪ অপরাহ্ণ |
গোদাগাড়ীতে বিএনপি নেতার নির্বাচনী ক্যাম্প নির্মাণে বাধা

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ভয়ভীতি, পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে মামলা দেওয়ার হুমকি ও নির্বাচনী কার্যালয় নির্মাণে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আরেক প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১০ টার দিকে উপজেলা বাসুদেবপুর ইউনিয়নের সুইজগেটে বাজারে বিএনপি নেতা সাজেদুর রহমান খান মার্কনীর ঘোড়া প্রতীকের নির্বাচনী অফিস নির্মাণের সময় বাধা দিয়ে এই হুমকি দেওয়া হয়। হুমকিদাতা আওয়ামী লীগের নেতার নাম আহাদ বিশ্বাস। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ। আহাদ বিশ্বাস বর্তমান চেয়ারম্যান ও কাপ-পিরিচের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের সমর্থক।

হুমকি পাওয়া ঘোড়া প্রতীকের কর্মী জিয়া অভিযোগ করেন, আমি জেলা বিএনপির সাবেক যুব বিষয়ক সম্পাদক সাজেদুর রহমান খান মার্কনীর পক্ষে কাজ করছি। শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১০ টার দিকে সুইজ গেটে বাজারে মোড়ে একটি জায়গায় নির্বাচনী অফিস তৈরীর জন্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করছিলাম। এই সময় আহাদ বিশ্বাস মোটরসাইকেল চালিয়ে এসে হঠাৎ করেই বলে এখানে যা কিছু হচ্ছে তা করা যাবে না। নির্বাচনী প্রচারণা বন্ধ করতে হবে। নইলে থানার পুলিশ দিয়ে মামলা দিয়ে ধরিয়ে দিবো।

তিনি আরো অভিযোগ করেন, নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা কেবল শুরু এখনি যদি এমন হুমকি ধামকি চলে তাহলে নির্বাচনী আসতে আসতে পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে তাতে মাঠে টিকে থাকা যাবে না বলে জানান।

ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী ও বিএনপি নেতা সাজেদুর রহমান খান মার্কনী বলেন, কেবলমাত্র ভোটের প্রচার প্রচারণা শুরু তাতেই আওয়ামী লীগে নেতাদের পক্ষ থেকে আমার কর্মীদের ভয়ভীতি ও মামলা দিয়ে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এতে আমি খুবই শঙ্কিত। আমার নির্বাচনী অফিস করতে বাঁধা প্রদার করা হয়েছে। ভোটের সময় ঘনিয়ে আসতে আসতে তাদের অত্যাচার আরো বেড়ে যেতে পারে। তিনি সুষ্ঠ ভোটের পরিবেশ আশা করেন এবং এই ঘটনায় রিটার্নিং অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ করার কথাও জানান।

হুমকি প্রদান প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতা আহাদ বিশ্বাস বলেন, যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা সঠিক না। আমি ওখানে গিয়ে আমার এক শ্যালককে নিষেধ করেছি তোর এসব অফিস করার কি দরকার। জিয়া নামের কাউকে তিনি কোন কিছুই বলেননি বলে জানান।

এবিষয়ে জেলা রিটার্নিং অফিসার ও সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার শাহিনুর ইসলাম প্রমানিক বলেন, এই ধরনের তথ্য বা অভিযোগ আমাদের কাছে এখনো আসেনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই দেখবো এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে