সংসদের আগামী অধিবেশনে পাস হবে শ্রম আইন

প্রকাশিত: এপ্রিল ৩০, ২০২৪; সময়: ১:১৬ অপরাহ্ণ |
খবর > জাতীয়
সংসদের আগামী অধিবেশনে পাস হবে শ্রম আইন

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : শ্রম আইন শ্রমিকবান্ধব করা হবে জানিয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, সংসদের আগামী অধিবেশনে অর্থাৎ বাজেট অধিবেশনেই এটি পাস হয়ে যাবে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, শ্রম আইনটি শ্রমিকবান্ধব করা হবে। এতে আইএলও কিছু সংযোজন করেছে। তাদের অনুরোধেই আইনটি পাস হওয়ার ক্ষেত্রে একটু বিলম্ব হচ্ছে।

তবে আমাদের আগ্রহের কোনো কমতি নেই। আশা করছি, সংসদের আগামী অধিবেশনে অর্থাৎ বাজেট অধিবেশনেই এটি পাস হয়ে যাবে।

মার্কিন প্রতিনিধিরা আপনাদের সঙ্গে শ্রম আইন নিয়ে বৈঠক করেছেন। এছাড়া শ্রম আইন কতটুকু মানা হচ্ছে, তা নিয়ে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত ঈদের আগে আমরা একটি সভা করেছিলাম ত্রিপক্ষীয়।

সেখানে সমস্যা চিহ্নিত করে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এ বছরই শ্রম খাতে প্রথম ঈদের আগে বেতন-ভাতা দেওয়া হয়েছে।

এর আগে সড়ক অবরোধ করা হতো, বিভিন্ন বিশৃঙ্খলা হতো। আগে শ্রমিক-মালিক বৈরী সম্পর্ক ছিল। এবার আমরা আলোচনা করে সেটা সমাধান করেছি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ছুটির আগে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেওয়া হয়েছে। সরকারের কাছে পাওনা প্রণোদনা মালিকপক্ষকে দেওয়া হয়েছে।

যে কারণে যথাযথ সময়ে শ্রমিকদের পাওনা দেওয়া হয়েছে। সে কারণে এবার আনন্দঘন পরিবেশে শ্রমিকরা ঈদ উদযাপন করেছে।

তিনি বলেন, আইন না মানলে আমরা শ্রম আদালতে মামলা দায়ের করতে পারি। সেটা বাস্তবায়ন করতে আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে পরিদর্শকরা আছেন। তারা পরিদর্শন করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

তারা আমাদের মন্ত্রণালয়ের অধীনে। কাজেই শ্রম আইন না মানলে লাইসেন্স বাতিলের ক্ষমতা আছে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হয় না, এমনটা বলা যাবে না।

আমি আশ্বাস করতে চাই, গেল দুই মাসে আমার মন্ত্রণালয়কে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে। দুর্নীতিমুক্ত ও স্বচ্ছভাবে এই মন্ত্রণালয়কে পরিচালনা করা হয়েছে।

শ্রমিকদের আটঘণ্টা কর্মঘণ্টা কতদিনে বাস্তবায়ন করা হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তৈরি পোশাক খাত থেকে বেশির ভাগ বৈদেশিক মুদ্রা আসে।

তারা যখন বিদেশি অর্ডার বাস্তবায়ন কিংবা রপ্তানি তাড়াতাড়ি করাতে শ্রমিকদের ওভারটাইম করান। এ জন্য তাদের পাওনা দেওয়া হয়। শ্রমিকরা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি বলেন, এটা পারস্পরিক বিষয়, সমঝোতার ভিত্তিতে করা হয়। আবার অনানুষ্ঠানিক খাতে এগুলো হয়। যেমন দোকানে আটঘণ্টার বেশি শ্রম দিতে হচ্ছে। এসব বিষয় নিরসনে আমরা কাজ করছি।

ট্রেড ইউনিয়ন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের বিষয়ে বিধান অনেক শিথিল করা হয়েছে। অনলাইন ও অফলাইনে ট্রেড ইউনিয়নের নিবন্ধন আমরা দিচ্ছি।

সেক্ষেত্রে তাদের বাধাগুলো শিথিল করে তারা যাতে সহজে ট্রেড ইউনিয়ন পেতে পারেন, আমরা সেই ব্যবস্থা করেছি।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে