বাগমারায় হত্যা চেষ্টা মামলার আসামীকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত: এপ্রিল ৩০, ২০২৪; সময়: ৩:৫৭ অপরাহ্ণ |
বাগমারায় হত্যা চেষ্টা মামলার আসামীকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, বাগমারা : রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের পলাশী গ্রামে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা মামলার মূল হোতা রিপনকে (২৪) গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বেলা পৌনে ১২টার দিকে মানববন্ধন ও সাংবাদিক সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী।

মামলা করায় বাদীর পরিবারের সদস্যদের ভয়ভীতি দেখানো ও প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন মামলার বাদি রেজাউল ইসলামসহ পরিবারের সদস্যরা।

জানা যায়, মাত্র নব্বই টাকার দোকান বাকীকে কেন্দ্র করে গত ১ এপ্রিল পলাশী গ্রামের চা দোকানের মালিক মৃত সাদেক মন্ডলের ছেলে আতাব আলী, স্ত্রী রেহেনা বিবি ও তাদের ছেলে মোস্তাকের সঙ্গে একই গ্রামের মৃত কালাচাঁন শাহের ছেলে রাজমিস্ত্রি আবু বক্করের কথা কাটাকাটি ও বাক বিতন্ডা সৃষ্টি হয়।

স্থানীয়রা ওই বিষয়টি উভয়ের মধ্যে মিমাংসা করে দেয়। পরদিন (২ এপ্রিল) সকালে আবু বক্কর আতাব আলীর বাড়ির সামনের রাস্তা দিয়ে রাজমিস্ত্রির কাজে যাওয়ার সময় মোস্তাকের ছেলে রিপন ধারালো হাসুয়া দিয়ে অতর্কিতভাবে আবু বক্করকে কোপাতে থাকে।

এক পর্যায়ে মারাত্মক জখম ও রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তার পাশে পড়ে যায় আবু বক্কর। তার গোঙ্গানিতে স্থানীয়রা ছুটে এলে হামলাকারী রিপন পালিয়ে যায়। তবে পুলিশ আতাব আলী ও মোস্তাককে গ্রেপ্তার করলেও একদিন পরই তারা জামিনে বেরিয়ে আসে।

কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় আহত আবু বক্করের ছেলে রেজাউল ইসলাম বাদী হয়ে রিপন, আতাব আলী, মোস্তাক ও রেহেনা বিবিসহ চারজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।

এদিকে জামিনে এসে আতাব আলী ও মোস্তাক বাদির পরিবারকে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।

সাংবাদিক সম্মেলনে মামলার বাদী রেজাউল ইসলাম, তার মা লেহেমা, চাচি রজুফা, দাদি রেজিয়া, চাচা আক্কাছ আলী, প্রতিবেশী রেবেকাসহ অন্যরা জানায়, রিপন একজন মাদক সেবী ও সন্ত্রাসী। সে এলাকায় বেপরোয়াভাবে চলাফেরা করে।

তার দাদা একটি হত্যা মামলায় জেল খেটে বেরিয়ে এসেছে। সেও প্রয়োজনে সেরকমই করবে এমন উক্তি তার মুখে অনেকেই শুনেছেন বলে জানিয়েছেন। মানববন্ধন ও সাংবাদিক সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যসহ পলাশী গ্রামের বিপুল সংখ্যক নারী পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক সোহাইল রানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ঘটনার পর থেকেই মামলার প্রধান আসামি রিপন পলাতক রয়েছে। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা এবং বিভিন্ন উপায়ে তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

 

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে