বাগাতিপাড়ায় চেয়ারম্যান প্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় একজন আটক

প্রকাশিত: মে ২, ২০২৪; সময়: ৩:৫৪ অপরাহ্ণ |
বাগাতিপাড়ায় চেয়ারম্যান প্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় একজন আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক, নাটোর : নাটোরের বাগাতিপাড়ায় চেয়ারম্যান প্রার্থী এএসএম জাহাঙ্গীর হোসেন মানিকের ওপর হামলার ঘটনায় আনসার নামে এজনকে আটক করে পুলিশ। বুধবার রাতে আনসারকে আটক করে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার সকালে আটক আনসারকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। আটককৃত আনসার উপজেলার দয়ারামপুর ইউনিয়নের হিজলি পাবনাপাড়া গ্রামের ইব্রাহিমের ছেলে।

হামলার শিকার চেয়ারম্যান প্রার্থী এ,এস,এম জাহাঙ্গীর হোসেন উপজেলার সাইলকোনা এলাকার খোয়াজ উদ্দিন মন্ডলের ছেলে এবং উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক।

এদিকে এই হামলার ঘটনায় আহত চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভাই উপজেলার ফাগুয়ারদিয়ার ইউপি চেয়ারম্যান এসএম লেলিন বাদি হয়ে বাগাতিপাড়া মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

এএম লেলিন বলেন, বুধবার সন্ধ্য ৭টার দিকে বাগাতিপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী তার ভাই এএসএম জাহাঙ্গীর হোসেন মানিক নির্বাচনী প্রচারনায় সোনাপুর বাজার এলাকায় গেলে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শরিফুল ইসলাম শরিফের কর্মী-সমর্থকরা তার ওপর হামলা চালায়।

এতে তিনি আহত হন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। আহত জাহাঙ্গীর হোসেন মানিকের ভাই ফাগুয়াড়দিয়াড় ইউপি চেয়ারম্যান এসএম লেলিন জানান, বুধবার সন্ধ্যায় তার ভাই মানিক ওই বাজারে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন।

এসময় প্রতিদ্বন্দ্বি চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শরিফুল ইসলাম শরিফের কর্মী-সমর্থকরা আমার ভায়ের ওপর হামলা চালায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। আহত অবস্থায় তাকে নাটোর সদর হাসপাতালে নেয়া হয়।

আহত জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, বুধবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার সোনাপুর বাজারে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। এসময় স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা ও প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী শরিফুল ইসলামের সমর্থক আরশেদ আলীকে একটি দোকানে বসে থাকতে দেখে তার সাথে সাক্ষাৎ করতে যান।

এসময় আরশেদ ও তার কয়েকজন সহযোগী চেয়ার তুলে আমার উপর হামলা করেন। এতে তিনি রক্তাক্ত জখম হন। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।

অভিযুক্ত আরশেদ আলী জানান, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অসত্য এবং ভিত্তিহীন। আমরা সন্ধ্যার দিকে কয়েকটা চেয়ার ভাড়া নিয়ে সোনাপুর বাজারে এক দোকানে বসে আমাদের প্রার্থী শরিফুলের বিষয় কথা বলছিলাম।

এসময় জাহাঙ্গীর এসে আমাদের কাছে ভোট প্রার্থনা করে। আমি তার সাথে হ্যান্ডশেক করি এবং বলি যে, আমরা শরীফুলের সমর্থক আমাদের কাছে ভোট প্রার্থনা করার দরকার নাই। তিনি বিদায় নিয়ে বাইরে চলে যান।

জাহাঙ্গীর বিদায় নিয়ে বাহিরে যাওয়ার পর হৈচৈ শুনতে পাই। আমি শারীরীকভাবে অসুস্থ থাকায় দোকান ঘরের বাহিরে যায়নি।

এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে হামলার বিষয় জানতে চাওয়া হলে তিনি বিএনপির কোন প্রার্থী এই প্রহসনের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেনা।

তাই বিএনপির কোন প্রার্থী থাকার কথা নয়। যারা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন তাদেরকে বিএনপি থেকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত আগেই জানিয়ে দেয়া হয়েছে।

বাগাতিপাড়া মডেল থানার ওসি নান্নু খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহত অবস্থায় মানিককে উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবারের লোকজন।

এ ঘটনায় আহত জাহাঙ্গীর হোসেন মানিকের ভাই ফাগুয়ার দিয়াড় ইয়পি চেয়ারম্যান এসএম লেলিন এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। ওই ঘটনায় আনসার নামে একজন কে আটক করা হয়েছে। পরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

নির্বাচনের রির্টানিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বি) মাসুদুর রহমান বলেন, নির্বাচনের সুষ্ঠ পরিবেশ বিঘ্নসৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা।

 

 

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে