বেলকুচিতে থানায় অরাজকতা সৃষ্টি ও প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থীর উপর হামলার ঘটনায় ১০ জন আটক

প্রকাশিত: মে ২, ২০২৪; সময়: ৭:২৯ অপরাহ্ণ |
বেলকুচিতে থানায় অরাজকতা সৃষ্টি ও প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থীর উপর হামলার ঘটনায় ১০ জন আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে রাতে থানায় প্রবেশ করে অরাজকতা সৃষ্টি ও সরকারী কাজে বাধা প্রদানের অভিযোগে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিরুল ইসলামের ১০ কর্মী-সমর্থককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকেও মামলা করা হয়েছে।

বেলকুচি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল বারিক জানান, বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে প্রচারনা চালানোর একপর্যায়ে চালা সাত রাস্তার মোড়ে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিনুল ইসলাম সরকার (দোয়াত কলম) ও বদিউজ্জামান ফকিরের (মটরসাইকেল) কর্মী সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরপর অভিযোগ দিতে বদি ফকির থানায় আসেন। কিছুক্ষণ পরই আমিনুলের কর্ম-সমর্থকরাও থানায় প্রবেশ করেন। এসময় আমিনুল গ্রুপের সমর্থকরা থানায় ভিতরে ঢুকে অস্থীতিশলি পরিস্থিতি তৈরী করেন। তারা উচ্চ স্বরে গালমন্দ করতে থাকে এবং থানার পরিবেশ বিনষ্ট করে। একপর্যায়ে জেলা সদর থেকে ডিবি পুলিশ আসে এবং থানা পুলিশ মিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করা হয়। এরপরই অভিযান চালিয়ে আমিনুল গ্রুপের ১০জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশের কাজে বাধা প্রদান এবং গভীর রাতে থানায় অনাধিকার প্রবেশ করে থানার পরিবেশ বিনষ্ট করার অভিযোগে পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে। মামলায় ২২জনের নাম উল্লেখ এবং অন্তত: ২০জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে। থানার ভিডিও ফুটেজ দেখে অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী বদিউজ্জামান ফকিরের ভাই মান্নান ফকির অভিযোগ করে বলেন, চালা সাত রাস্তার মোড়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিনুল ইসলাম নিজে উপস্থিত থেকে তার ভাই বদি ফকিরের কর্মী-সমর্থকদের মারধর করে। এ ঘটনায় মামলা করতে থানায় গেলে প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী আমিরুল ইসলাম মটরসাইকেলের বহর নিয়ে থানায় ঢুকে তার ভাই বদি ফকিরকে মারধর করার জন্য চেষ্টা করেন। পুলিশের সহায়তায় বদি ফকির থানার অভ্যন্তরে নিরাপদে থাকলেও আমিরুল সহ তার লোকজন থানার ভিতরে অরাজকতা সৃষ্টি করে। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।

এ প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল জানান, রাতের বেলায় থানায় ঢুকে অস্থীতিশীল পরিস্থিতি তৈরীর অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় রাতেই অভিযান চালিয়ে ১০জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে সনাক্ত করে বাকি আসামীদের গ্রেপ্তার করা হবে।

এ বিষয়ে জানতে চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিনুল ইসলামের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ উপজেলায় প্রথম ধাপে ৮ মে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। চেয়ারম্যান পদে ৩জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। তারা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে