তাড়াশে এলজিইডি’র রাস্তা নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশিত: মে ৫, ২০২৪; সময়: ৭:২৮ অপরাহ্ণ |
তাড়াশে এলজিইডি’র রাস্তা নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ

নূর ইসলাম রোমান, তাড়াশ : চলনবিল অধ্যুশিত সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার তাড়াশ ওয়াবদার বাঁধ হইতে কুন্দইল ব্রীজ পর্যন্ত ঢালাই রাস্তার পূর্ণসংস্কার কাজে ব্যপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কাজটি বাস্তবায়ন করছে এলজিইডি। প্রায় ৪ কিঃ মিঃ রাস্তার এ কাজে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২ কোটি পঞ্চাশ লাখ টাকা।

তার পরেও অতিনিম্নমানের অকেজো নিম্নমানের মাটি মিশ্রিত সাদা পাথর ও বালি ব্যবহার করতে দেখা গেছে ঐ রাস্তায়। তাড়াশ ওয়াবদার বাধ হইতে কুন্দইল ব্রীজ পর্যন্ত ঢালাই পূর্ণসংস্কার রাস্তার কাজে ব্যপক দূর্নীতির চিহ্ন রেখেই কাজ করছেন ঠিকাদার ওহীদুল ইসলাম গোকুল। রাস্তায় খুব নিম্নমানের মাটি মিশ্রিত পাথর আর বালি ব্যবহার করা হচ্ছে অবাধে।

উক্ত রাস্তায় কালো পাথর ব্যবহার করার নিয়ম থাকলেও ঠিকাদার সাদা পাথর ব্যবহার করে চলেছে। তিনি সিডিউল না মেনে এ সকল কাজ করছেন। তবে ঠিকাদার সিডিউল লংঘন করে কাজ শুরু করলেও তাড়াশ উপজেলা এলজিইডি অফিস কর্মকর্তাদের নেই সেই কাজের প্রতি তেমন কোনো নজরদারি। অনেকেই বলেন উপজেলা এলজিইডি অফিস কর্মকর্তাদের গাফিলতি আর ঠিকাদারের নয়ছয় ভাবে কাজ শুরু করায় সরকারি লাখ লাখ টাকা হরিলুট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এ রাস্তার কাজের মুল ঠিকাদার নওগাঁ জেলার ইথান এন্টারপ্রাইজ এর মালিক মোঃ রাসেল আহম্মেদ। তবে তার কাছ থেকে সাব-কন্ট্রাক নিয়েছেন নাটোর জেলার ঠিকাদার মোঃ ওহীদুল ইসলাম গোকুল। উক্ত রাস্তার কাজের ঠিকাদারিত্ব নিয়ে এ যেন আলাউদ্দিনের চেরাগ হাতে পেয়েছেন। এলাকাবাসী জানান, ঐ রাস্তায় ছুটির দিনে তথা রাতের বেলায়ও কাজ করছেন ঠিকাদারের লোকজন।

তারা আরও জানান, রাস্তটিতে যে ধরনের নিম্নমানের সাদা পাথর ও বালি ব্যবহার করা হচ্ছে তা অতিনিম্নমানের।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার ০২/০৫/২৪ ইং, ঐ রাস্তায় এমন ভাবে ঢালাই করা হচ্ছে যে কিছু দিন যেতে না যেতেই রাস্তার ঢালাই উঠে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রাস্তাটিতে অত্যাধুনিক যন্ত্রণাদি অর্থাৎ সেন্ট্রাল ল্যাব ব্যবহার করা হলেই মিলবে দূর্নীতির হাজারও প্রমাণ।

সচেতন মহল জানান, আমরা এমন অনুপযোগী রাস্তা চাই না, যে রাস্তায় দু’দিন পরেই আগের মত জণদূর্ভোগ পোহাতে হবে আমাদের।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকেই বলেন, রাস্তায় নিম্মমানের কাজ করার সময় আমরা ঠিকাদারের লোকজনকে বলেছি, কিন্তু তারা জোরপূর্বক ভাবে কাজ করছেন। উক্ত কাজের ঠিকাদার মোঃ ওহীদুল ইসলাম গোকুল উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ায় সেই ক্ষমতার বলে রাস্তায় ব্যপক অনিয়ম করছেন।

উল্লেখ্য এলজিইডি কর্তৃক উক্ত উপজেলার ওয়াবদার বাধ হইতে কুন্দইল ব্রীজ পর্যন্ত প্রায় ৪ কিঃ মিঃ রাস্তায় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে মোট ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

এ ব্যপারে সিরাজগঞ্জ এলজিইডি অফিসের (নির্বাহী প্রকৌশলী) মোঃ মনিরুল ইসলাম সাথে মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে ঠিকাদার মোঃ ওহীদুল ইসলাম গোকুল বলেন, কাজ করতে গেলে একটু ত্রুটি হতেই পারে। তবে শতভাগ কাজ করা কোনো ঠিকাদারের পক্ষে সম্ভব নয়।

এ ব্যপারে তাড়াশ উপজেলার এলজিইডি (ইঞ্জিনিয়ার) এর কাছে রাস্তায় সাদা পাথর ব্যবহার করার নিয়ম আছে কিনা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, সাদা পাথর ব্যবহার করার কোনো নিয়ম নাই। এ বিষয়ে আমি মোবাইলে কোনো কথা বলতে পারবো না। আপনি অফিসে আসেন আমি সব তথ্য দেবো।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে