তৃতীয় দফার ভোটে পশ্চিমবঙ্গে অশান্তি, বোমা, মারধর

প্রকাশিত: মে ৭, ২০২৪; সময়: ৩:১৯ অপরাহ্ণ |
তৃতীয় দফার ভোটে পশ্চিমবঙ্গে অশান্তি, বোমা, মারধর

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : ভারতে চলমান লোকসভা নির্বাচনে মঙ্গলবার তৃতীয় দফায় ৯৩টি আসনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। ভোট হওয়ার কথা ছিল ৯৪টি আসনে। কিন্তু সুরাটে বিজেপি প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গেছেন।

অন্যদিকে মধ্যপ্রদেশের বেতুলে দ্বিতীয় দফায় ভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেখানে বিএসপি প্রার্থীর মৃত্যুর পর সেখানে তৃতীয় দফায় ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অন্যদিকে কাশ্মিরের অনন্তনাগ-রাজৌরির ভোটগ্রহণ পিছিয়ে দেয় কমিশন।

মঙ্গলবার যে ৯৩ আসনে ভোট হচ্ছে, সেখানে বিজেপি খুবই শক্তিশালী। গতবার এই ৯৩ আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছিল ৭২টি। গুজরাটের সব আসনে জিতেছিল বিজেপি। সেই গুজরাটে মঙ্গলবার ভোট হচ্ছে।

এছাড়া মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, কর্ণাটক, পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, বিহার, গোয়া, ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্র, দমন-দিউ, দাদরা নগর হাভেলিতে ভোট হচ্ছে।

পশ্চিমবঙ্গের চার আসনে ভোট-

পশ্চিমবঙ্গের চারটি আসন মুর্শিদাবাদ, জঙ্গিপুর, মালদহ দক্ষিণ ও মালদহ উত্তরে ভোট হচ্ছে। দেশের বাকি রাজ্যে ভোট শান্তিতে হলেও পশ্চিমবঙ্গের ভোট সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

মুর্শিদাবাদে সিপিএম এজেন্টকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। হরিহরপাড়ায় কংগ্রেস সভাপতির বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা মারা হয়েছে বলে অভিযোগ। জঙ্গিপুরে বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে পুলিশের বচসা হয়েছে। মালদহে বিজেপি এজেন্টকে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

ডোমকলে তৃণমূল ভোটারদের ভোট দিতে বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ডোমকলেই সিপিএমের এজেন্টকে মেরে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠার পর সিপিএম প্রার্থী মহম্মদ সেলিম সেখানে চলে যান।

সেলিম জানান, সিপিএমের এজেন্টকে বের করে দিয়ে তৃণমূলের এক কর্মী সিপিএমের এজেন্ট হিসাবে বসে যান। সেলিম গিয়ে প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে কাগজপত্র দেখতে চান। সেই এজেন্টকে পরে বের করে দেওয়া হয়। সেলিমের অভিযোগের পর ওই এজেন্টকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

জঙ্গিপুরে বিজেপির দুই এজেন্টকে বসতে দেওয়া হচ্ছিল না বলে অভিযোগ। সেখানেও বিজেপি প্রার্থী চলে যান। দলের এজেন্টদের বসানোর দাবি করেন।

রানিনগরে সিপিএম কর্মীকে মারধর করা হয়। তিনি কয়েক ঘণ্টা কলাবাগানে লুকিয়ে থাকেন বলে অভিযোগ। মালদহ দক্ষিণের একটি বুথে পুলিশ ভোট নিয়ন্ত্রণ করছে বলে বিজেপি প্রার্থী অভিযোগ করেছেন।

এদিকে গুজরাটের আমেদাবাদের একটি স্কুলে ভোট দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি ভোট দেওয়ার পর বলেন, ‘ভোট দেওয়ার একটা গুরুত্ব আছে। সবাই এই গণতন্ত্রের উৎসবে যোগ দিন।’

মোদি জানিয়েছেন, তিনি এই স্কুলেই বরাবর ভোট দেন। ওই একই বুথে ভোট দিয়েছেন দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-ও।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে