ভারতের নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ উড়িয়ে দিলো যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত: মে ১০, ২০২৪; সময়: ১১:৫৪ পূর্বাহ্ণ |
ভারতের নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ উড়িয়ে দিলো যুক্তরাষ্ট্র

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ভারতের চলমান লোকসভা নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলেছে রাশিয়া। তবে মস্কোর এ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে ওয়াশিংটন।

শুক্রবার (১০ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্র ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের মধ্যে ভারতকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। মার্কিন ফেডারেল কমিশনের রিপোর্টে ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে ভারতের সমালোচনা করার পর ওয়াশিংটেনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনলো মস্কো।

বুধবার (৮ মে) রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন নিউজ নেটওয়ার্ক আরটি নিউজ জানায়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেছেন, ভারতের জাতীয় মানসিকতা এবং ইতিহাস সম্পর্কে বোঝার ক্ষমতা নেই যুক্তরাষ্ট্রের। আর তারা দেশটির ধর্মীয় স্বাধীনতার বিষয়ে ভিত্তিহীন অভিযোগ করে যাচ্ছে।

জাখারোভা এটাকে দেশ ও রাষ্ট্র হিসেবে ভারতের প্রতি ‘অসম্মানজনক’ বলে অভিহিত করেছেন।

তিনি আরও বলেন, ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে ভারসাম্যহীন এবং সাধারণ নির্বাচনকে জটিল করে তোলার জন্য যুক্তরাষ্ট্র এমন অভিযোগ করছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আরও বলেন, ওয়াশিংটনের পদক্ষেপগুলো স্পষ্টতই দিল্লির অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার শামিল।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে রাশিয়ার তোলা এ অভিযোগ প্রত্যাহার করেছে মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।

তিনি বলেন, অবশ্যই না। আমরা ভারতের নির্বাচনে নিজেদেরকে জড়িত করি নি। কারণ, বিশ্বের কোথাও নির্বাচনে আমরা নিজেদের জড়ায় না। এটা ভারতের জনগণের জন্য সিদ্ধান্ত।

ইউনাইটেড স্টেটস কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম (ইউএসসিআইআরএফ)-এর সবশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনে ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘনের অভিযোগে ভারতের সমালোচনা করার পর রাশিয়া এমন মন্তব্য করল। এ ছাড়া এ কমিশন ভারতকে ‘বিশেষ উদ্বেগের দেশ’ হিসেবে ঘোষণা করার জন্য মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের কাছে ‍সুপারিশ করেছে।

কমিশন এ প্রতিবেদনে ‘বৈষম্যমূলক’ জাতীয়তাবাদী নীতিকে শক্তিশালী করার জন্য ক্ষমতাসীন বিজেপিকে অভিযুক্ত করেছে। এ ছাড়াও প্রতিবেদনে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন, বিদেশি অবদান নিয়ন্ত্রণ আইন, নাগরিকত্ব সংশোধন আইন এবং ধর্মান্তর বিরোধী ও গো-হত্যা আইনের অব্যাহত প্রয়োগের বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: লোকসভা নির্বাচনের ‘ব্যতিক্রম’ আসন, যেখানে স্থান পায়নি ধর্মীয় মেরুকরণ

এতে আরও বলা হয়, এসব আইন প্রয়োগের ফলে ধর্মীয় সংখ্যালঘু এবং তাদের পক্ষে ওকালতিকারীদের নির্বিচারে আটক ও তাদের ওপর নজরদারি করা হচ্ছে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে