রাজশাহীতে এক চেম্বারেই ১১ বছর পার শিক্ষা কর্মকর্তার

প্রকাশিত: মে ২৩, ২০২৪; সময়: ১১:০৮ অপরাহ্ণ |
রাজশাহীতে এক চেম্বারেই ১১ বছর পার শিক্ষা কর্মকর্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক : এক চেম্বারেই ১১ বছর পার করে দিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের রাজশাহী অঞ্চলের উপপরিচালক (ডিডি) ড. শরমিন ফেরদৌস চৌধুরী।

অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে তিনি মাঝে একবার ঢাকায় বদলি হলেও প্রভাব খাটিয়ে সাত মাসের মাথায় আবার রাজশাহী ফিরেছেন। এরপর পার হয়েছে আরও পাঁচ বছর দুই মাস। এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির ক্ষেত্রে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ আছে। শিক্ষকদের সঙ্গে তাঁর খারাপ আচরণের বিষয়টি তদন্তে উঠে এসেছে ২০১৮ সালেই।

ড. শরমিন ফেরদৌস চৌধুরী রাজশাহীর প্রমথনাথ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। ২০১২ সালের নভেম্বরে তাঁকে মাউশির রাজশাহী অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক হিসেবে পদায়ন করা হয়। ২০১৮ সালের শুরুতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক গোপনীয় প্রতিবেদনে মাউশির ১৭৫ কর্মকর্তা-কর্মচারীর নানা অনিয়মের চিত্র উঠে আসে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ওই বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মাউশিকে নির্দেশ দেয়। তখন ড. শরমিনকে রাজশাহী থেকে ঢাকায় শাস্তিমূলক বদলি করা হয়। এরপর প্রমথনাথ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তৌহিদ আরাকে মাউশির রাজশাহী অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত ডিডি করা হয়। তৌহিদ আরা ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই ডিডি হিসেবে যোগ দেন।

বদলির পরই রাজশাহী ফিরতে তদবির শুরু করেন শরমিন ফেরদৌস। ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি তৌহিদ আরাকে আবার নিজ স্কুলে ফেরত পাঠানো হয়। আর বদলির সাত মাস পর আবার রাজশাহী অঞ্চলের ডিডি হয়ে আসেন শরমিন ফেরদৌস। সেই থেকে তিনি এখনো আছেন। মাঝের সাত মাস বাদে তিনি প্রায় ১১ বছর ধরেই এ পদে।

ডিডি শরমিনের সঙ্গে তাঁর অনিয়ম-দুর্নীতির সহযোগী হিসেবে পরিচিত প্রোগ্রামার মো. মামুন ও উচ্চমান সহকারী আবদুল আওয়ালকেও ঢাকায় বদলি করা হয়েছিল। বদলির সাত মাসের মাথায় ডিডি শরমিনের সঙ্গে তাঁরাও রাজশাহী ফেরেন।

ডিডি শরমিনের বিরুদ্ধে সম্প্রতি মাউশির সচিবের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন রাজশাহীর বাঘার এক ব্যক্তি। অভিযোগে বলা হয়েছে, শরমিন ফেরদৌস শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির জন্য তাঁর প্রতিনিধির মাধ্যমে ঘুষ নেন।

তবে অনিয়মের মাধ্যমে এমপিও করে দেওয়ার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে ডিডি শরমিন ফেরদৌস চৌধুরী বলেন, ‘ফাইল আসার পর ১০ দিনের মধ্যে আমাকে অগ্রগামী করতে হয়। আমি এত যাচাই করতে গেলে ১০ দিনে ১০টা ফাইলের কাজও শেষ করতে পারব না।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বছরের ১৫ মে মাউশির সহকারী পরিচালক দুর্গা রানী সিকদার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে আঞ্চলিক কার্যালয়গুলোর উপপরিচালকসহ যেসব কর্মকর্তা একই কর্মস্থলে তিন বছরের বেশি সময় পার করেছেন তাঁদের তথ্য পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

মাউশির সহকারী পরিচালক দুর্গা রানী সিকদার বলেন, ‘তালিকা নিয়ে আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে দিয়েছিলাম। তারপর মন্ত্রণালয় কিছু কর্মকর্তাকে বদলি করে। রাজশাহীর ডিডি কেন এখনো আছেন সেটা আমি বলতে পারব না।’ সূত্র- আজকের পত্রিকা

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে