রাবিতে প্রথম বারের মতো ইনোভেশন শোকেসিং

প্রকাশিত: মে ২৭, ২০২৪; সময়: ৭:০৫ অপরাহ্ণ |
রাবিতে প্রথম বারের মতো ইনোভেশন শোকেসিং

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাবি : স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) প্রথম বারের মতো ‘ইনোভেশন শোকেসিং’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৭ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের কনফারেন্স কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় এটি। এতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সৈয়দ আমীর আলী হলের ইসাবেল স্মার্ট ক্যাটারিং উদ্ভাবন।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন রাবি উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার। উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবির এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. অবায়দুর রহমান প্রামানিক।

প্রদর্শনীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, হল ও দপ্তরের ২২টি টিম অংশগ্রহণ করে। টিমগুলো প্রদর্শনীতে মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে তাদের উদ্ভাবন সম্পর্কে তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করে।

অংশগ্রহণকারী টিম ও তাদের উদ্ভাবনগুলো হলো- সৈয়দ আমীর আলী হল (ইসাবেল স্মার্ট ক্যাটারিং), শহীদ হবিবুর রহমান হল (অনলাইনে সার্টিফিকেট উত্তোলন), অর্থ ও হিসাব দপ্তর (অনলাইনে টিএ/ডিএ ব্যবস্থাপনা), সেন্ট্রাল সায়েন্স ল্যাব (ই-ল্যাব সার্ভিস)।

পরিসংখ্যান বিভাগ (অফিস অটোমেশন), চিকিৎসা কেন্দ্র (অনলাইন চিকিৎসা সেবা ব্যবস্থাপনা), পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ দপ্তর (পরীক্ষা ব্যবস্থাপনা), আইন বিভাগ (বিভাগের ওয়েবসাইট ও ডাটাবেজ), ফিশারীজ বিভাগ (বিভাগের কার্যক্রম ব্যবস্থাপনা), ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিক্যাল সায়েন্সেস (অনলাইনে এমফিল ও পিএইচডি কোর্সে ভর্তি), শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালা (মুক্তিযুদ্ধ ও শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালার প্রামাণ্যচিত্র তৈরি)।

প্রকৌশল দপ্তর (ই-টেন্ডারিং), গোপনীয় শাখা (টিচার্স অনলাইন সার্ভিসেস), ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস বিভাগ (পশুর মাংস সংগ্রহ ও সংরক্ষণ), রাবি গ্রন্থাগার (কোহা সফ্টওয়ার ও অনলাইন লাইব্রেরি সার্ভিস), পপুলেশন সায়েন্স এন্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগ (কো-অপারেটিভ ডিজিটাল ল্যাব ফর কম্পিউটিং এন্ড ল্যাঙ্গুয়েজ লার্নিং) ইত্যাদি।

অনুষ্ঠান উদ্বোধনের পর প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সত্তার বলেন, আমরা উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে যেতে এখনো অনেক বাকি। তবে আমরা আশা করছি, আমরা ভবিষ্যতে ভালো করব। এসব আয়োজন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় র্যাংকিংকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে। আমরা আশা করছি, এবার ওয়ার্ল্ড র্য্যাংকিংয়ে পনেরোশতের ভিতরে অবস্থান করবো

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, আজকে বিশ্ব যে জায়গায় এগিয়ে গেছে, আমরা তার থেকে অনেক পিছিয়ে আছি। টেকনোলজি যে পরিমাণ এগুচ্ছে, আমরা সে পরিমাণ এগুতে পারছি না। আমরা যদি এখন ঘুরে না দাঁড়াই, এগুলো নিয়ে চিন্তা না করি, তাহলে আমরা ভবিষ্যতে অনেক পিছিয়ে পড়বো। অনেক উন্নত দেশে আমরা লক্ষ্য করছি ছোটখাটো বিষয়ে তারা টেকনোলজি ব্যবহার করে। আমাদেরও সেভাবে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, আমরা প্রতিটি বিভাগ ও দপ্তরকে একাধিকবার অনুরোধ করেছি। যদি তাদের নতুন চিন্তা নাও আসে, তারপরও তারা যেন আমাদের সাথে এসে যুক্ত হয়। কিন্তু তাদের কাছ থেকে আগ্রহ পাওয়া যেতে পারে সে চিন্তাটা করতে পারিনি। পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা যদি সেভাবে কাজ না করি, তাহলে আমরা একটি অপ্রয়োজনীয় ব্যক্তি এবং সমাজে পরিণত হবো।

রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. তারিকুল হাসান অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। এসময় বিভিন্ন হল, বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের মোট ২২ জন প্রতিনিধি তাদের ইনোভেশন পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন।

 

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে