জাল ভোট দিতে এসে যুবক আটক
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জাল ভোট দিতে আসা মো. কাওসার মিয়া নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় অন্য দুটি কেন্দ্রে চার পোলিং এজেন্টকে জরিমানা ও জেল প্রদান করা হয়েছে।
বুধবার (৫ জুন) সকালের দিকে উপজেলার হরসপুর ইউনিয়নের আউলিয়া নগর মোহাম্মদীয়া আলিম মাদরাসা কেন্দ্র থেকে জাল ভোট দিতে আসা যুবককে আটক করে ৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মইনউদ্দিন খন্দকার।
এছাড়াও কাঞ্চনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মুকট প্রতীকের পোলিং এজেন্ট মামুন ও প্রজাপতি প্রতীকের এজেন্ট সহিদ মিয়াকে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৫ হাজার টাকা করে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
এ দিকে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার ছতরপুর উচ্চবিদ্যালয় মহিলা ভোটকেন্দ্রে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যরা বারবার মুঠোফোন ব্যবহার করতে নিষেধ করেন। তারপরও দুই পোলিং এজেন্ট হারুন মিয়া (২৪) ও শাহানা বেগম (৫২) সঙ্গে মুঠোফোন রাখায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দুজনকে তিন দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
এর আগে সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। যা চলবে একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এ দিকে নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে বলে জানান বিজয়নগর উপজেলা নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ মাহবুবুল হক। তিনি জানান, নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে পুলিশের পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি, আনসার সদস্যরা রয়েছেন। এছাড়াও মাঠে দায়িত্ব পালন করছেন দুজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
নির্বাচনে চেয়ারম্যন পদে ৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যন (পুরুষ) পদে ৯ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যন পদে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১০টি ইউনিয়ন নিয়ে বিজয়নগর উপজেলা গঠিত। এ উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ১০ হাজার ৫৩৮ জন। মোট ভোট কেন্দ্র ৭৮টি।