বাজেট লক্ষ্যমাত্রা উচ্চাভিলাষী হলেও বাস্তবায়ন সম্ভব: ফিকি

প্রকাশিত: জুন ১০, ২০২৪; সময়: ৩:৪৫ অপরাহ্ণ |
বাজেট লক্ষ্যমাত্রা উচ্চাভিলাষী হলেও বাস্তবায়ন সম্ভব: ফিকি

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : এবারের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার, জিডিপি প্রবৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতির যে লক্ষ্যমাত্রা সরকার নির্ধারণ করেছে তা উচ্চাভিলাষী হলেও কার্যকরী পরিকল্পনার মাধ্যমে বাস্তবায়ন সম্ভব বলে জানিয়েছে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগকারী বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন দ্য ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ফিকি)।

সোমবার (১০ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে ২০২৪-২৫ সালের বাজেট পর্যালোচনা শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এই পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছে সংগঠনটি।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার লক্ষ্য নিয়ে এবারের বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে। মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) বিপরীতে এবারের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার, জিডিপি প্রবৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতির যে লক্ষ্যমাত্রা সরকার নির্ধারণ করেছে, তা উচ্চাভিলাষী হলেও কার্যকরী পরিকল্পনার মাধ্যমে বাস্তবায়ন সম্ভব। তবে এ লক্ষ্য অর্জনে আর্থিক নীতির আরও সংস্কার প্রয়োজন বলে মনে করে সংগঠনটি।

সংবাদ সম্মেলনে বাজেটের বিভিন্ন বিষয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন ফিকি সভাপতি জাভেদ আখতার। আরও উপস্থিত ছিলেন ফিকির উপদেষ্টা ও সাবেক সভাপতি রূপালী চৌধুরী।

উপস্থাপিত বাজেটের বেশ কয়েকটি প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে টেলিকম, কার্বনেটেড বেভারেজ ও ওয়াটার পিউরিফায়ারের ওপর আরোপিত শুল্ক ও করকে অতিরিক্ত দাবি করে এ ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ফিকি সভাপতি। সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির নেতারা আরও জানান, এসব খাতে এই বর্ধিত কর ব্যবসার মুনাফা ও কার্যকারিতার ক্ষেত্রে কঠিন চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে এবং বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করবে।

পাশাপাশি বাজেটে ব্যক্তিগত আয়কর হার বাড়ানোর প্রস্তাবের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করে তা সৎ করদাতাদের আয়কর দেয়ার ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করতে পারে বলে জানানো হয় ফিকির পক্ষ থেকে। তবে কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে উৎসে কর হ্রাসের প্রস্তাবকে স্বাগত জানান তারা।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (৬ জুন) দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হয়। প্রস্তাবিত এ বাজেটের আকার ধরা হয় ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা।

বিশাল অঙ্কের এ বাজেটের ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। আর অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা, যা মোট জিডিপির ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। ঘাটতি মেটাতে বৈদেশিক ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ২৭ হাজার ২০০ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ ঋণ নেয়া হবে ১ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। টাকার অঙ্কে যা ৫৫ লাখ ৯৭ হাজার ৪১৪ কোটি টাকা।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে