রাশিয়ার দাগেস্তানে ভয়াবহ হামলা, নিহত অন্তত ১৫ পুলিশ

প্রকাশিত: জুন ২৪, ২০২৪; সময়: ১১:১১ পূর্বাহ্ণ |
রাশিয়ার দাগেস্তানে ভয়াবহ হামলা, নিহত অন্তত ১৫ পুলিশ

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : রাশিয়ার দাগেস্তানে ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ১৫ জনেরও বেশি পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া আরও বেশ কয়েকজন বেসামরিক নাগরিকও নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে।

দুটি অর্থোডক্স গির্জা, সিনাগগ ও পুলিশ পোস্টে হামলায় হতাহতের এই ঘটনা ঘটে। সোমবার (২৪ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, রাশিয়ার দাগেস্তান প্রজাতন্ত্রে দুটি অর্থোডক্স গির্জা, একটি সিনাগগ এবং একটি পুলিশ পোস্টে বন্দুকধারীদের হামলার পর ১৫ জনেরও বেশি পুলিশ সদস্য এবং একজন অর্থোডক্স পুরোহিতসহ বেশ কয়েকজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যায় ডারবেন্ট এবং মাখাচকালা শহরে সংঘটিত ওই হামলায় কমপক্ষে আরও ১২ জন আহত হয়েছেন।

হামলার শিকার ওই সিনাগগ এবং গির্জা উভয়ই ডারবেন্টে অবস্থিত, যা প্রধানত-মুসলিম উত্তর ককেশাস অঞ্চলে প্রাচীন ইহুদি সম্প্রদায়ের আবাসস্থল। অন্যদিকে প্রায় ১২৫ কিলোমিটার (৭৮ মাইল) দূরে দাগেস্তানের রাজধানী মাখাচকালায় পুলিশ পোস্টে হামলার ঘটনা ঘটে।

হামলার ফলে ডারবেন্টের সিনাগগে আগুন লেগে যায় বলে স্থানীয় কর্মকর্তারা বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন। এছাড়া গির্জা থেকে ধোঁয়া উঠছিল বলেও জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। দাগেস্তান প্রজাতন্ত্রের প্রধান সের্গেই মেলিকভ বলেছেন, হামলাকারীদের মধ্যে ছয়জনকে ‘শেষ করা’ হয়েছে।

রাশিয়ার বার্তাসংস্থা তাস জানিয়েছে, হামলাকারীরা ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠনের’ সদস্য ছিল বলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো মনে করছে। অবশ্য ডারবেন্টে এর আগে গাড়িতে করে হামলাকারীদের পালিয়ে যেতে দেখা গেছে।

মেলিকভ বলেছেন, ‘আজ রাতে ডারবেন্ট এবং মাখাচকালায়, অজ্ঞাত লোকেরা সেখানকার পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করেছিল। দাগেস্তান পুলিশ অফিসাররা তাদের পথে বাধা দেয়।

তাদের মধ্যে হতাহতের সংখ্যাও রয়েছে বলে প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে। সমস্ত পরিষেবা নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছে… হামলাকারীদের পরিচয় নিশ্চিত করা হচ্ছে।’

ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ডারবেন্টের সিনাগগটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং মাখাচকালার দ্বিতীয় আরেকটি সিনাগগে গুলি চালানো হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামলার সময়ে সিনাগগে কোনও উপাসক ছিল না বলে মনে করা হচ্ছে।

মস্কো থেকে আল জাজিরার ড্যানিয়েল হকিন্স বলেছেন, দাগেস্তান এর আগে ১৯৯০ এবং ২০০০ এর দশকের শুরুতে বিচ্ছিন্নতাবাদী সহিংসতা দেখেছে।

তিনি বলেন, ‘সেখানে সহিংসতা, বছরের পর বছর ধরে কমে গেছে। সমন্বিত পন্থায় এবং বেসামরিক ধর্মীয় অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করে চালানো এই ধরনের আক্রমণ খুবই অস্বাভাবিক এবং নিঃসন্দেহে সারাদেশে রাশিয়ানদের জন্য এটি হবে বিস্ময়ের।’

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে