বয়স বাড়লেও এই জুসেই মেমরি থাকবে তীক্ষ্ণ, দূরে থাকবে ডিমেনশিয়া
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : ভুলে যাওয়ার সমস্যা সব বয়সেই কমবেশি দেখা যায়। তবে বয়স বাড়লে স্মৃতি সব সময়ে সঙ্গ দেয় না, তখন স্মৃতিগুলো টালমাটাল হতে থাকে। ভুলে যাওয়ার পরিমাণ বাড়তে থাকে। স্মৃতিভ্রষ্টের সমস্যা সব সময়ে ডিমেনশিয়ার উপসর্গ না-ও হতে পারে। ৫০ পেরোতেই এমন সমস্যা দেখা দিতে শুরু করলে প্রশ্রয় না দিয়ে বরং প্রতিরোধের চেষ্টা করুন। আপনার স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধ বয়সেও প্রখর রাখতে এখনই কিছু জিনিস খাওয়া শুরু করুন যা আপনার মস্তিষ্ককে তীক্ষ্ণ করে তুলবে। ডিমেনশিয়ার মতো রোগ ছুঁতে পারবে না। কিছু ফলের রস এ সমস্যায় অমৃতের মতো কাজ করে।
মস্তিষ্কের শক্তি ও বুদ্ধিমত্তা বাড়াতে এই জুস ওষুধের থেকেই বেশি কার্যকরী। আপনার বাচ্চাকেও খাওয়াতে পারেন নিয়মিত। কারণ এই রসে অনেক ধরণের ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা বৌদ্ধিক কার্যকারিতা ভালো রাখে। আসুন জেনে নেই এমনই কিছু স্বাস্থ্যকর ফল থেকে তৈরি জুস সম্পর্কে যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যকে শক্তিশালী এবং সুস্থ রাখতে দুর্ধর্ষ কাজ করে।
জেনে নিন ফলগুলোর নাম এবং কার্যকারিতা-
ব্লুবেরি: আপনি ব্লুবেরি জুস পান করে আপনার মস্তিষ্কের শক্তি বাড়াতে পারেন। একে ব্রেন বেরিও বলা হয়। এতে ফ্ল্যাভোনয়েডের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা স্মৃতিশক্তি এবং জ্ঞানীয় কার্যকারিতা বাড়ায়। নিয়মিত ব্লুবেরি জুস পান করলে বয়স্কদের মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা উন্নত হয়। এর ফলে মস্তিষ্কের কোষগুলোও সুস্থ থাকে।
এ বিষয়ে পুষ্টিবিদরা বলেছেন, নিয়মিত ব্ল্যাকবেরি খাওয়ার ফলে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে এবং বার্ধক্যজনিত কারণে স্মৃতিশক্তি হ্রাস রোধ করতে পারে।
ডালিম: মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্যও খুব উপকারী ডালিমের জুস। এতে প্রচুর পরিমাণে পলিফেনল রয়েছে যা স্মৃতিশক্তি বাড়ায়। মস্তিষ্কের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। নিয়মিত ডালিমের জুস পান করলে স্মৃতিশক্তি ও মস্তিষ্কের কার্যকলাপের উন্নতি ঘটে। ডালিমের মধ্যে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য মস্তিষ্কের সার্বিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে খুব কার্যকর।
কমলা: আবার আপনি যখন ভিটামিন সি সমৃদ্ধ কমলার জুস পান করেন তখন মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। ভিটামিন সি নিউরোট্রান্সমিটার উৎপাদনের জন্য অপরিহার্য। এছাড়া মস্তিষ্কের সমস্যাও দূর করে। আপনি যদি নিয়মিত কমলার জুস পান করেন তবে ব্রেনের কার্যকারিতা উন্নত হতে পারে। এছাড়া এতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান মস্তিষ্ককে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করে।
আঙুর: আঙুরের জুস মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখে। কালো আঙুরের রস পান করলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। এতে রেসভেরাট্রোলের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা বয়স্কদের মধ্যে মোটর দক্ষতা এবং স্মৃতিশক্তি উন্নত করার জন্য দায়ী। আঙুরের জুস পান করা আপনার মস্তিষ্ককে নিউরোডিজেনারেটিভ রোগ থেকেও রক্ষা করতে পারে।
বিটরুট: মস্তিষ্ককেও সুস্থ রাখে বিটরুটের জুস। আপনি যদি নিয়মিত বিটরুটের জুস পান করেন তবে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত হয়। নাইট্রেট সমৃদ্ধ এই জুস মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বাড়ায়। এই জুস নিয়মিত পানে জ্ঞানীয় কর্মক্ষমতা উন্নত করে রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধির কারণে মস্তিষ্কের কোষে বেশি অক্সিজেন ও পুষ্টি পৌঁছে যায়।