দেশে সফটওয়্যার প্রকৌশলীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে বি-টপসি প্রোগ্রাম শুরু
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : দেশে সফটওয়্যার প্রকৌশলীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে বি-টপসি প্রোগ্রাম শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁও-এ অবস্থিত আইসিটি টাওয়ারের বিসিসি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে একযোগে কাজ শুরু করেছে আইসিটি (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি) বিভাগ ও জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)।
এ আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশ আগামী প্রজন্মের উপযোগী সুদক্ষ সফটওয়্যার প্রকৌশলী তৈরিতে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। জাপানের মর্যাদাপূর্ণ ‘টপসি’ প্রশিক্ষণ কোর্সের আদলে বাংলাদেশে বি-টপসি (বাংলাদেশ টপ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার) প্রোগ্রাম আয়োজনের লক্ষ্যও একই – ‘বি এ টপ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার।’
আইসিটি খাতে দক্ষতা অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় সর্বাধুনিক সফটওয়্যার প্রকৌশলের ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে তাদের ‘সুপার আর্কিটেক্ট’ হিসেবে গড়ে তোলাই এই কোর্সের উদ্দেশ্য। এই উদ্যোগের মাধ্যমে মিড-ক্যারিয়ারে থাকা ১ হাজারেরও বেশি আইসিটি পেশাজীবী প্রশিক্ষণ গ্রহণের সুযোগ পাবেন। এক্ষেত্রে তাদের প্রশিক্ষণ দেবেন খাতসংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরাই।
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম (বেসিস) ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অংশীদারিত্বে প্রোগ্রামটি বাস্তবায়ন করবে জাইকা’র ‘প্রজেক্ট ফর আইসিটি ইঞ্জিনিয়ার্স ডেভেলপমেন্ট ফর দ্য প্রোমোশন অব দ্য আইসিটি ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড নিউ ইনোভেশনস।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি; তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, এনডিসি; জাইকা বাংলাদেশ অফিসের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুচি তোমোহিদেসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
আয়োজনে জাপানের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেটিক্সে (এনআইআই) টপসি প্রোগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান প্রফেসর ড. হোনিদেন শিনিচি’র ভিডিও বার্তা প্রদর্শন করা হয়। এ সময় তিনি বাংলাদেশে এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করায় সংশ্লিষ্টদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
অসাধারণ এই উদ্যোগের বিষয়ে জাইকা বাংলাদেশের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুচি তোমোহিদে বলেন, জাপান ও বাংলাদেশের দীর্ঘকালীন বন্ধুত্ব অত্যন্ত গভীর; আর এ উদ্যোগ তারই বহিঃপ্রকাশ। বাংলাদেশের আইসিটি খাতের ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে এই বি-টপসি প্রোগ্রাম। দেশের আইসিটি পেশাজীবীদের সক্ষম করে তোলার মধ্য দিয়ে আমরা নতুন উদ্ভাবন ও শক্তিশালী বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার নিত্যনতুন ক্ষেত্র তৈরি করব।
আইসিটির বৈশ্বিক পরিসরে বাংলাদেশের সুদৃঢ় অবস্থান গড়ে তোলার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হয়ে থাকবে এই বি-টপসি প্রোগ্রাম।