‘ব্যাংকে সাইবার হামলার শঙ্কা’
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : ইত্তেফাকের প্রধান শিরোনাম, ‘ব্যাংকে সাইবার হামলার শঙ্কা’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোতে সাইবার আক্রমণের প্রবণতা আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ব্যাংকগুলো প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ম্যালওয়্যার আক্রমণের শিকারও হচ্ছে। এ ধরনের সাইবার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে ব্যাংকগুলোকে ১৭টি পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগের এক চিঠিতে সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে এসব পরামর্শ মানতে অনুরোধ জানান।
চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশে সাইবার সিকিউরিটি ইনটেলিজেন্সের (বিসিএসআই) নিয়মিত তথ্য নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনায় বাংলাদেশের কিছু ব্যাংকে ডুয়েল কারেন্সি কার্ডে ফেসবুক অ্যাড ম্যানেজার ব্যবহার করে বেআইনিভাবে লেনদেন হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।
এছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় এসব সাইবার অপরাধী প্রতিনিয়ত দেশের সাধারণ মানুষ তথা ব্যাংকের গ্রাহকদের হয়রানি করছে।প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম, ‘ছিনতাইকারী ও ডাকাতেরা বেপরোয়া’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, মোহাম্মদপুর ও উত্তরারসহ ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাইকারী ও ডাকাতেরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
নগরের বিভিন্ন এলাকার প্রধান সড়ক থেকে অলিগলি, এমনকি অভিজাতপাড়ায়ও মানুষ ছিনতাই ও ডাকাতির শিকার হচ্ছেন। এতে নগরবাসীর দিন কাটছে আতঙ্কে।
ডিএমপির কাছ থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, গত মাসের প্রথম ২৩ দিনে রাজধানীতে ২৬টি ছিনতাইয়ের মামলা হয়েছে। একই সময়ে ডাকাতির মামলা হয় চারটি। এর আগের মাস সেপ্টেম্বরে ১৫টি ছিনতাই ও পাঁচটি ডাকাতির মামলা হয়।
অথচ গত বছরের সেপ্টেম্বরে ঢাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনায় ২৯টি মামলা হয়েছিল। ডাকাতির কোনো মামলা হয়নি। ওই বছরের অক্টোবরে ছিনতাইয়ের মামলা ছিল ২৮টি, ডাকাতির মামলা তিনটি। যদিও এ ধরনের ঘটনার বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ভুক্তভোগীরা মামলা করতে চান না।
পাশাপাশি বেড়েছে খুনের ঘটনাও। গত সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে ঢাকায় ১৯২ জন খুন হয়েছেন। এর মধ্যে কেবল মোহাম্মদপুরেই খুনের ঘটনা ঘটেছে ২১টি। অথচ গত বছরের সেপ্টেম্বরে রাজধানীতে খুনের ঘটনা ছিল ১১টি, অক্টোবরে ১৯টি।
পুলিশের দাবি জনবল-সংকটের কারণে পুলিশ ঠিকমতো টহল দিতে পারছে না।
কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম, ‘কিশোর গ্যাংয়ে বাড়ছে অপরাধ’।প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর দেশজুড়ে হঠাৎ করে যে অপরাধ বেড়েছে। এর মূলে রয়েছে কিশোর-তরুণ গ্যাং।
হত্যা, মাদক ব্যবসা, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, জমি দখল থেকে শুরু করে এসব অপরাধী সুযোগ পেলেই নারীদেরও উত্ত্যক্ত করছে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে নতুন করে কয়েক হাজার কিশোর-তরুণ অপরাধীর তালিকা বানিয়ে পুলিশ এরই মধ্যে তাদের গ্রেপ্তারে অভিযানেও নেমেছে।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, গত এপ্রিলের আগে রাজধানীতে অন্তত ১২৭টি কিশোর গ্যাং গ্রুপ সক্রিয় ছিল। সারা দেশে ছিল ২৩৭টি। এসব গ্যাংয়ের সদস্য ছিল দুই হাজারের বেশি। প্রতিটি থানায় তাদের তালিকা ছিল।
তবে পুলিশের দাবি, গত ৫ই অগাস্টের আগে ও পরে দেশের বেশির ভাগ থানা নাশকতায় ধ্বংস হওয়ায় সেই তালিকাও ধ্বংস হয়ে গেছে। সংগত কারণে এখন নতুন করে কিশোর গ্যাংয়ের তালিকা তৈরি করা লাগছে।
যৌথ বাহিনীর অভিযানে দেড় শতাধিক অপরাধী ধরা পড়েছে, যাদের বেশির ভাগের বয়স ১৫ থেকে ২১ বছরের মধ্যে।
এক্ষেত্রে, কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার পাশাপাশি কিশোর সংশোধন কেন্দ্রগুলোকে আরো সময়োপযোগী করে তোলার ওপর জোর দিয়েছেন অপরাধ বিশ্লেষকরা।