কমলার যত কারিশমা
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : এটি সাধারণত শীতকালীন ফল ও ঠাণ্ডা মৌসুমে বেশি পাওয়া যায়। ঠাণ্ডাজনিত অসুখ সারাতে এ ফলটি অত্যন্ত কার্যকরী।বিশ্বের সবচেয়ে বেশি কমলা উৎপাদন হয় ব্রাজিলে। ধারণা করা হয় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় প্রথম কমলা উৎপন্ন হয়।
ব্যবহার
কমলা ফল বা জুস হিসেবে খাওয়া হয়। ফ্রুট সালাদ ও বিভিন্ন ডেজার্টেও এর ব্যবহার রয়েছে। কমলার খোসা দিয়ে তৈরি হয় অরেঞ্জ অয়েল যা খাবারে ফ্লেভার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও কমলার খোসা দিয়ে ড্রিংকস ও পারফিউম তৈরি হয়।
কমলা ফুলের পাপড়ি দিয়ে রোজ ওয়াটারের ফ্রুট ভার্সন অরেঞ্জ ওয়াটার তৈরি হয়। কমলার পাতা পানিতে সিদ্ধ করে তৈরি করা হয় হারবাল চা। কমলার আচার ও জেলি বহু আগে থেকেই বাজারে ও খাবার টেবিলে সহজলভ্য একটি উপাদান।
পুষ্টিমান
• এন্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন, ফাইবার ও ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট সমৃদ্ধ কমলা ত্বক, চোখ ও হৃৎপিণ্ডের জন্য আদর্শ খাবার। এটি নিয়মিত খেলে শরীরে ক্যানসার সেল বেড়ে উঠতে পারে না।
• কমলাতে উপস্থিত বিটা-ক্যারোটিন একটি শক্তিশালী এন্টি-অক্সিডেন্ট। চোখের জন্য ভালো এ ফলটি ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে বাঁচায় ও বয়সের ছাপ দূরে রাখে।
• ভিটামিন এ ও সি দুটোই ভীষণ শক্তিশালী এন্টি-অক্সিডেন্ট। এগুলো ফ্রি রেডিক্যালসের খারাপ প্রভাব থেকে ইমিউন সিস্টেমকে সুস্থ রাখে। পাশাপাশি কার্ডিওভাস্কুলার ডিজেজ প্রতিরোধ করে।
• কমলায় ক্যালরির পরিমাণ খুব কম। এতে কোনো স্যাচুরেটেড ফ্যাট নেই। রয়েছে প্যাকটিন– একটি ডায়েটারি ফাইবার যা শরীরের অতিরিক্ত ওজন ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে।
• এতে আরও রয়েছে হেসপারেটিন, নারিনগিন ও নারিজেনিন ফ্লেভোনয়েড যা এন্টি-অক্সিডেন্ট, এন্টি-ইনফ্লেমেটরি হিসেবে কাজ করে ও ইমিউন সিস্টেমের সুস্থতা বজায় রাখে।
আপনি জানেন কি-
• ভ্যানিলা ও চকলেটের পর সারাবিশ্বে জনপ্রিয় ফ্লেভার হচ্ছে কমলা।
• ইংল্যান্ড ও ইতালিতে কমলা ও কমলার ফুল কসমেটিক্স ও পারফিউমে ব্যবহৃত হয়।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট