ওজন বাড়াতে সাহায্য করে যেসব ফল,
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে ডায়েট মেনে চলা দরকার। সেই খাবারের তালিকায় স্থান পায় রকমারি ফলও। কারণ, ফল একাধারে যেমন জলের ঘাটতি দূর করতে পারে, তেমনই এতে থাকা ভিটামিন এবং খনিজ শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
ফাইবার সমৃদ্ধ, কম ক্যালোরির ফল ওজন বশে রাখতেও সাহায্য করে। কিন্তু সব ফল ওজন কমায় না। বরং কয়েকটি ফল খেলে ওজন বাড়তেও পারে।
যেমন, আম, কলা, আতা, সবেদা, খেজুরের মতো ফলগুলোতে ক্যালোরির পরিমাণ বেশি। তাই পরিমিত না খেলে এ থেকে ওজন বেড়েও যেতে পারে।
পুষ্টিবিদরা বলছেন, আম, কলা ইত্যাদিতে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি। কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণও বেশি। ফলে মাপমতো না খেলে ওজন বেড়ে যেতে পারে।
আম: গ্রীষ্মকালীন এই রসালো ফলটি প্রায় সবাই পছন্দ করে। ১০০ গ্রাম আম থেকে ৬০ কিলো ক্যালোরি পাওয়া যায়। এতে শর্করা থাকায় বেশি খেলে ওজন বৃদ্ধির ভয় থাকে। তবে আমেও প্রচুর ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে, যা স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো।
কলা: পুষ্টিবিদরা বলছেন, যেহেতু পাকা কলায় ক্যালোরির পরিমাণ বেশি, ১০০ গ্রাম কলায় ১১৭-১২০ কিলোক্যালোরি পাওয়া যায়, তাই কলা ওজন বৃদ্ধিতেই সাহায্য করে। তবে এতে পটাশিয়াম, ভিটামিনও থাকে প্রচুর।
আতা: এই ফলটিতেও ক্যালোরির পরিমাণ যথেষ্ট। ১০০ গ্রাম আতায় ৯৪-৯৫ কিলোক্যালোরি পাওয়া যায়। সুতরাং, মেপে না খেলে এই ফলেও ওজন বাড়তে পারে। এই তালিকায় সবেদা, খেজুরের মতো ফলও রয়েছে।
পুষ্টিবিদের কথায়, যেহেতু এই ফলগুলোতে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ বেশি, ক্যালোরি বেশি, তাই যদি মেপে না খাওয়া হয়, ওজন বাড়তেই পারে।কেউ যদি ১০০ গ্রাম আম খান, অসুবিধা হবে না। একই যুক্তি খাটে কলা বা অন্য ফলগুলোতেও। ওজন বশে রাখতে হলে ফল খাওয়া যেমন জরুরি তেমন ক্যালোরি মেপে খেতে হবে।
যারা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইছেন তারা উপকারিতার জন্য এই ফলগুলো খেতেই পারেন, তবে দৈনন্দিন ভাত-রুটির পরিমাণ কমিয়ে। বরং দু’টির বদলে একটি রুটি আর সব্জি খেয়ে কিছু ক্ষণ পরে একটি ফল খাওয়া যেতে পারে।
কিন্তু ওজন বাড়াতে চাইলে দৈনন্দিন খাবারের পরিমাণ কমানোর দরকার নেই। ভাত, রুটির পাশাপাশি ফল খেতেই পারেন তিনি।