বাগমারার হাটগুলোতে বেড়েছে পাটের দাম

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৩, ২০২৪; সময়: ৬:৫০ অপরাহ্ণ |
বাগমারার হাটগুলোতে বেড়েছে পাটের দাম

শামীম রেজা, বাগমারা : বাগমারা উপজেলা সহ আশেপাশের এলাকায় পাটের বাম্পার ফলন ও ভালো দাম পেয়ে বেজায় খুশি কৃষক। সেই সাথে বর্তমান অন্তবর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয় পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ ও পলিথিনের বিকল্প পাটের তৈরি ব্যাগ উৎপাদনে উদ্যোগ গ্রহণ করায় বেড়েছে পাটের দাম।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এবার আবহাওয়া অনুকূল থাকায় পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে পাট চাষী ও ব্যবসায়ীরা বেশ লাভবান হচ্ছেন। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে এই উপজেলায় পাটের আবাদ হয়েছে প্রায় দেড় হাজার হেক্টর জমিতে। গত বছর এই চাষাবাদের পরিমান ছিল সাড়ে বারশ হেক্টর। এখনো অনেক কৃষক পাট নিয়ে হাটে যাচ্ছেন।

উপজেলার নরদাশ এলাকার কৃষক আবুল হোসেন জানান, এবার সাড়ে তিন বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছিলাম। এতে প্রতি বিঘা খরচ হয়েছে ৮ হাজার টাকা। পরে জাগ দিয়ে ও শুকিয়ে পাট পরিমাপ করে দেখেন প্রতি বিঘায় তিনি ৮ থেকে ১০ মণ হারে পাট পেয়েছেন। এবার প্রতি মণ পাটে তিনি ৫০০-৬০০ টাকা বেশি দাম পেয়েছেন। শ্রীপুরের কৃষক মকবুল হোসেন জানান, এবার ব্যাপক বৃষ্টিপাত ও বন্যা হওয়ায় চারিদিকে থৈ থৈ পানি ছিল। খালে বিলে পানি থাকায় পাট জাগ দিতে তেমন অসুবিধা হয়নি। পাট জাগ থেকে খোসা ছাড়ানো পর্যন্ত পাটের মান ভাল রয়েছে। শুরুতেই পাট আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি করেছি। তবে এখন বাজার তিন হাজারের উপর। তার মতে, ভাল দাম পাওয়ায় এবার পাটের আবাদ করে বেশ লাভবান হয়েছেন তিনি।

একই এলাকার কৃষক মমতাজ, আয়নাল, হবিবর সহ ১০/১২ জন কৃষক আশাবাদি হয়ে বলেন, বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের সময় তারা উপযুক্ত পাটের দাম পাবেন এমনটি আশাও করেননি। তারা আরো আশাবাদি হয়ে বলেন, এই সরকার পলিথিন সহ পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক দ্রব্যাদি তুলে দিতে চাইছে এটা খুব ভাল পদক্ষেপ। সোনালী আঁশ পাটের সেই হারানো ঐতিহ্য আবার ফিরে আসবে এবং তারা আরো বেশি করে পাট চাষ করবেন এমন আশায় বুক বেঁধেছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল রাজ্জাক জানান, এবার আবহাওয়া পাট চাষের অনুকূল ছিল। প্রথম থেকে কৃষকরা পাটের দাম ভাল পাওয়ায় বেশ লাভবান হচ্ছেন। ভবিষ্যতে এই উপজেলায় আরো বেশি হারে পাটের আবাদ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে