কোনো শিল্পীকে যেন ভিসার কারণে কাজ হারাতে না হয়: তমা মির্জা
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন দেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনের জনপ্রিয় পরিচালক-প্রযোজক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। আড়াই দশকের বেশি সময় ছবি ও নাটক পরিচালনা করছেন ফারুকী। তিনি সরকারের উপদেষ্টা পদে যোগ দেওয়ায় আশার আলো দেখছেন এপার এবং ওপার বাংলার চলচ্চিত্র জগতের মানুষেরা।
সাধারণত বিনোদন দুনিয়া থেকে কেউ রাজনীতিতে যোগ দিলে সবাই প্রত্যাশা করেন রাজনৈতিক দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি সংস্কৃতি ও বিনোদন দুনিয়ার ভাল-মন্দও দেখবেন তিনি। ফারুকীর কাছেও কি সেই প্রত্যাশাই রাখছেন দেশের অভিনেতা-অভিনেত্রীরা?
বিশেষত বর্তমান পরিস্থিতিতে বেশ খানিকটা অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। এপার বাংলা, ওপার বাংলা মিলিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণের ইতিহাসও সুদীর্ঘ। কিন্তু ভূরাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সেই প্রবাহও খানিকটা থমকেছে। সে ক্ষেত্রে ফারুকী দায়িত্ব নেওয়ায় কি বিশেষ সুবিধা পাওয়া যাবে?
এসব বিষয়ে নিয়ে সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার অনলাইনে সঙ্গে কথা বলেছেন ‘সুড়ঙ্গ’ ছবির নায়িকা তমা মির্জ়ার।
এসব অভিনেত্রী বলেন, আমি রাজনীতি বুঝি না। বিষয়টি থেকে দূরে থাকতেই পছন্দ করি। তার পরেও মনে হয়, বিনোদন দুনিয়ার কোনো ব্যক্তি যদি বিষয়টি বোঝেন, তা হলে তিনি যোগ দিতেই পারেন। সেই জায়গা থেকে ফারুকী ভাই উপযুক্ত ব্যক্তি।
তমা মির্জা বলেন, নতুন উপদেষ্টা রাজনীতির পাশাপাশি ছবির জগৎকেও সমান ভালবাসেন। এ রকম কোনো মানুষ শাসনকার্যে যুক্ত হলে অবশ্যই তার থেকে বিনোদন দুনিয়ার বাকিদের প্রচ্ছন্ন প্রত্যাশা তৈরি হয়। সরকারের কাছে তিনি তাদের ভাল-মন্দ তুলে ধরবেন- এমনই আশা করেন অভিনেত্রী। একইভাবে তিনি আশা করছেন, দুই বাংলার জন্য হয়তো ভালো কিছু খবর আসতে চলেছে।
ভারতের যাওয়ার ভিসা জটিলতা নিয়ে এ সময় তমা মির্জা বলেন, ভিসা জটিলতায় আমি নিজেও ভুগছি। সব সময় কাজের জন্যই যে ভারতে যেতে হবে, এমন কথা নেই। ভারতেও অনেক বন্ধু, শুভাকাঙ্ক্ষী আছেন। ইচ্ছে করে, তারা আসুন বা আমরা তাদের কাছে যাই। এই জায়গাটা অনেক দিন ধরেই বন্ধ।
তাই তিনি মন থেকে চাইছেন, যোগাযোগের এই মাধ্যমের যাবতীয় জট কাটিয়ে যেন দ্রুত স্বাভাবিক হয়। যাতে দুই বাংলার মানুষ আবার আগের মতো কাজের পাশাপাশি বন্ধুত্বের কারণেও দুই দেশে যাতায়াত করতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, আমার খুব খারাপ লেগেছে, আমাদের অনেক শিল্পী ভিসা জটিলতার কারণে ভারতে চুক্তিবদ্ধ থাকা সত্ত্বেও যখন কাজ করতে পারেননি, কলকাতার অনেক শিল্পীও একই ভাবে বঞ্চিত। এটা আমাদের কাছে খুবই কষ্টের। কারণ, চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর আমরা সেই চরিত্রে অভিনয়ের জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকি।
তমা আশা করেন, আগামী দিনে কোনো শিল্পীকে যেন শুধু ভিসার কারণে নির্দিষ্ট কাজ হারাতে না হয়।
আগামী বছর তমার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একাধিক কাজ তার হাতে। তার মধ্যে দু’টি বড় বাজেটের ছবি এবং দু’টি সিরিজ় রয়েছে। ইতিবাচক ভাবনা নিয়েই তিনি আপাতত নিজের কাজে মনোযোগী। পুরোদমে শুটিংয়ে ব্যস্ত।