আ.লীগের নেতাকর্মীকে একসঙ্গে দেখলেই ধোলাইয়ের ঘোষণা বিএনপি নেতার

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৪, ২০২৪; সময়: ৯:৩৪ অপরাহ্ণ |
আ.লীগের নেতাকর্মীকে একসঙ্গে দেখলেই ধোলাইয়ের ঘোষণা বিএনপি নেতার

নিজস্ব প্রতিবেদক : যেখানে আওয়ামী লীগের পাঁচজন নেতাকর্মী একসঙ্গে থাকবেন, সেখানেই ধোলাই দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন রাজশাহীর বাগমারার ভবানীগঞ্জ পৌরসভা সাবেক মেয়র ও পৌরসভা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুর রাজ্জাক প্রামাণিক। বৃহস্পতিবার বিকেলে ভবানীগঞ্জ হেলিপ্যাড মাঠে আয়োজিত জনসভায় দলীয় নেতাকর্মীদের এ নির্দেশনা দেন তিনি।

ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ছাত্রদল এই জনসভার আয়োজন করে। ভবানীগঞ্জ পৌরসভা যুবদলের আহ্বায়ক শাহীনুর ইসলাম শাহীনের সভাপতিত্বে জনসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী জেলা যুবদলের সদস্য সচিব রেজাউল করিম টুটুল ।

সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন, বিএনপির সাবেক জ্যেষ্ঠ আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান রঞ্জু। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, যুবদলের স্থানীয় নেতা আবদুল মালেক, শাহাদত হোসেন, মামুনুর রশিদ, আরিফুল ইসলাম আরিফ প্রমুখ। সভায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সভার প্রধান অতিথি রাজশাহী জেলা যুবদলের সদস্যসচিব রেজাউল করিম তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘১৬ বছর ধরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কারণে ঘরে ঘুমাতে পারেননি বিএনপির নেতাকর্মীরা। মিথ্যা মামলার আসামি করে পুলিশ লেলিয়ে দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে। জেলে যেতে হয়েছে। স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারেননি। গত ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর স্বস্তি পেয়েছেন। তাই বাংলার মাটিতে আওয়ামী লীগের আর রাজনীতি করার সুযোগ নেই।’

রেজাউল করিম তাঁর বক্তব্যে উপজেলা বিএনপির একাংশের নেতাদের উদ্দেশে আরও বলেন, ‘আজ থেকে সাত বছর আগে প্রকাশ্যে বাগমারায় কোনো কর্মসূচি পালন করেননি। আপনারা ম্যাডাম জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর পদত্যাগ করে “আর রাজনীতি করব না” বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। তাঁরা এখন সুসময়ে আবার দলে সক্রিয় হচ্ছেন।’ তাঁদের বিষয়ে সজাগ থাকার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান রেজাউল করিম। তিনি সব প্রকার গ্রুপিং বন্ধ করে আগামী দিনে সব নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার আহ্বান জানান।

সভার প্রধান বক্তা মনিরুজ্জামানও দলের একটি অংশের নেতার প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, ২০১৪ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীর প্রকাশ্যে বিরোধিতা করে হারানো হয়েছে। সেই নেতারা এখন আবার সক্রিয় হয়ে দলে বিভেদ সৃষ্টি করছে। তাদের কাছ থেকে দুরে থাকতে হবে।

এদিকে, এই জনসভার আগে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব কামাল হোসেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক স্ট্যাটাস দিয়ে এই জনসভার সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে ঘোষণা দেন। এটা দলীয় গ্রুপিং তৈরির অনুষ্ঠান বলে তিনি মন্তব্য করেন।

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে