আদম আ. জান্নাত থেকে বের হয়ে পৃথিবীর যে স্থানে অবতরণ করেন

প্রকাশিত: নভেম্বর ২০, ২০২৪; সময়: ১২:৩৩ অপরাহ্ণ |
খবর > ধর্ম
আদম আ. জান্নাত থেকে বের হয়ে পৃথিবীর যে স্থানে অবতরণ করেন

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : পৃথিবীতে মানুষের বিস্তার আদি পিতা আদম আ. ও আদি মাতা হাওয়া আ.-এর থেকে। আল্লাহ তায়ালা মাটি থেকে প্রথমে আদম আ.-কে সৃষ্টি করেছিলেন। এরপর তাঁর শরীরের একটি অংশ থেকে সঙ্গী হিসেবে আদি মাতাকে সৃষ্টি করেছেন।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘হে মানুষ! পুনরুত্থানের ব্যাপারে যদি তোমরা সন্দিহান হও, তাহলে (চিন্তা করে দেখ) আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি মাটি থেকে, অতঃপর শুক্র হতে, অতঃপর জমাট রক্ত থেকে, অতঃপর মাংসপিন্ড হতে পূর্ণ আকৃতিবিশিষ্ট বা অপূর্ণ আকৃতিবিশিষ্ট অবস্থায় (আমার শক্তি-ক্ষমতা) তোমাদের সামনে স্পষ্ট করে তুলে ধরার জন্য… (সূরা হজ, আয়াত : ৫)

জান্নাতে আদি পিতা হজরত আদম আ.-এর সঙ্গী হিসেবে ছিলেন আদি মাতা হজরত হাওয়া আ.-কে সৃষ্টি করা হয়েছে। হাওয়া আ.-এর সৃষ্টি সম্পর্কে মুহাম্মাদ ইবনে ইসহাক বলেন-

জান্নাতে আদম আলাইহিস সালাম তন্দ্রাচ্ছন্ন ছিলেন। এ সময় তার বাম পাঁজর থেকে একটি হাড় নেয়া হলো। আর সে স্থানে গোশত সংযোজন করা হলো। হাড় থেকে তার স্ত্রী হাওয়াকে সৃষ্টি করা হল এবং তাকে যথাযথ রূপ দান করা হল যেন আদম তার কাছ থেকে পরিতৃপ্ত থাকেন।

তারা দুজন একসঙ্গে জান্নাতে বসবাস করতে থাকলেন। তাদেরকে জান্নাত থেকে বের করতে শয়তান ফন্দি আঁটলো। আল্লাহ তায়ালা জান্নাতে একটি গাছের কাছে আদম ও হাওয়া আ.-কে যেতে নিষেধ করেছিলেন। শয়তান বিভিন্ন কুমন্ত্রণার মাধ্যমে তাদের সেই গাছের ফল খাওয়ালো। এতে রাগান্বিত হয়ে আল্লাহ তাদেরকে জান্নাত থেকে বের করে দিলেন।

জান্নাত থেকে বের হয়ে তারা পৃথিবীর কোথায় অবতরণ করেছিলেন তা নিয়ে কোরআন ও হাদিসে কোনো সুস্পষ্ট বর্ণনা নেই। তবে সুরা বাকারার ৩৬ নম্বর আয়াতে উল্লিখিত ‘আমি বললাম তোমরা নেমে যাও’ অংশের ব্যাখ্যায় তাফসির ও ইসলামের ইতিহাস গ্রন্থে বিভিন্ন অভিমত পাওয়া যায়।

আদম (আ.)-এর অবতরণস্থল হিসেবে তাফসিরবিদদের একাধিক মতের মধ্যে মক্কার সাফা পর্বতের পাশাপাশি ভারতবর্ষের সরন্দ্বীপের (বর্তমান শ্রীলঙ্কা) নাম উল্লেখযোগ্য।

ব্রিটানিকার তথ্য অনুসারে, শ্রীলঙ্কার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত সাত হাজার ৫৫৯ ফুট উচ্চতার এডামসের পিক বা শ্রীপদ নামের পাহাড়ের চূড়ায় ৬৭ ইঞ্চি দৈর্ঘ্য ও ১৮ ইঞ্চি প্রস্থের একটি পায়ের ছাপ পাওয়া যায়। এর পাদদেশে রয়েছে ভারতের তামিলনাড়ু পর্যন্ত ৪৮ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি সেতু। নানা কারণে মুসলিম ও খ্রিস্টান ছাড়াও হিন্দু ও বৌদ্ধদের কাছেও স্থানগুলো সম্মানিত।

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে