বাঘায় নারী ফুটবল দলের প্রীতি ম্যাচে হাজারো দর্শক

প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০২৪; সময়: ৮:২৪ অপরাহ্ণ |
খবর > খেলা
বাঘায় নারী ফুটবল দলের প্রীতি ম্যাচে হাজারো দর্শক

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, বাঘা : দুপুর থেকেই নানা বয়সী শত শত নারী-পুরুষ আসতে শুরু করে নারী ফুটবল দলের প্রীতি ম্যাচ খেলা উপভোগ করতে। ৩০ টাকা করে টিকিটের বিনিময়ে খেলা উপভোগ করেছেন হাজারো দর্শনার্থী। রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের দিঘা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ মাঠে এই খেলার আয়োজন করে দিঘা তরুণ সংঘ। ভ্যান গাড়ীতে ব্যান্ড দলের বাজনা বাজিয়ে মাইকিং করে রঙিন প্রচ্ছদে পোষ্টার সাটিয়ে খেলার প্রচারনা চালা তারা ।

খেলা শুরুর ১ ঘণ্টা আগে থেকেই টিকিট কেটে মাঠে প্রবেশ করেন দর্শনার্থীরা। অনেক দর্শনার্থী টাকা দিয়ে চেয়ার সংগ্রহ করেন। তবে তাঁদের মধ্যে ছিলেন নারী দর্শক বেশি। কেউ পাকা দালানের ছাদে আবার কেউ গাছে উঠেও খেলা উপভোগ করেছেন। সব মিলে দর্শনার্থীদের মধ্যে ছিল আনন্দ উচ্ছ্বাস । মাঠের বাইরে ছিল নানা রকম মুখরোচক খাবারের দোকান। খেলার আয়োজন ঘিরে পরিনত হয় মিলন মেলার।

বৃহস্পতিবার (২১নভেম্বর) বিকেলে অনুষ্ঠিত খেলায় অংশ নেন- ঠাকুরগাঁও জেলা মহিলা ফুটবল দল ও নারায়ণগঞ্জ মহিলা ফুটবল দল । উভয় দলই ২টি করে গোল করে। পরে ট্রাবেকারে ঠাকুরগাঁও জেলা মহিলা দল ০৬- ০৫ গোলে নারায়নগঞ্জ জেলা মহিলা দলকে পরাজিত করে। খেলা শেষে উভয় দলকে ট্রফি দিয়ে সম্মানিত করা হয়।

নারায়নগঞ্জ জেলা ফুটবল দলের অধিনায়ক রাত্রী খাতুন বলেন, গ্রামের মধ্যে ‘এ ধরনের প্রীতি ম্যাচ আয়োজন করায় আমরা উৎসাহবোধ করছি। কারণ, গ্রামের মানুষের কাছে ফুটবল এখনো সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। ঠাকুরগাঁও জেলা ফুটবল নারী দলের অধিনায়ক সোহাগী খাতুন বলেন, উৎকর্ষ সাধনে নারী ফুটবল দলের খেলোয়াড়রা খেলার অনুশিলনের মাধ্যমে দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশে যেতে চাই। নারি প্রীতি ফুটবল খেলাটি সাবলীল কন্ঠে আরো বেশী আকর্ষণীয় করতে ধারাভাষ্যকারের দায়িত্ব ছিলেন প্রভাষক সিরাজুল ইসলাম খোকন, কামাল পাশা ও জিন্নাহ সরকার।

প্রাইজমানি ফুটবল টুনামেন্ট কমিটির সভাপতি ও দিঘা তরুণ সংঘের সভাপতি শরিফুল ইসলাম বলেন, প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ও খেলোয়াড়দের খরচের জন্য ৩০ টাকা করে টিকিট নির্ধারণ করা হয়েছিল। সবাই টিকিট কেটে খেলা উপভোগ করেছেন। দিঘা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ জহুরুল ইসলাম বলেন,বর্তমানে নারিরা কোন অংশেই পিছিয়ে নেই। গ্রামের বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত নারী ফুটবল দলের খেলাকে কেন্দ্র করে মিলন মেলায় পরিনত হয়েছে। প্রত্যান্ত গ্রামের মেয়েরাও ফুটবল খেলায় অনুপ্রাণিত হবে বলে আমার বিশ্বাস।

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে