রাণীনগরে মাজার-ঈদগাঁর প্রায় ৯০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৬, ২০২৪; সময়: ৬:৩১ অপরাহ্ণ |
রাণীনগরে মাজার-ঈদগাঁর প্রায় ৯০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাণীনগর (নওগাঁ) : নওগাঁর রাণীনগরের একডালা ইউনিয়নের ভেটুরিয়া ঈদগাঁ এবং কাঙ্গালী পীরের মাজারের সম্পত্তি জবর দখল করে প্রায় ৯০লাখ টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ ওঠেছে। ভেটুরিয়া ঈদগাঁ কমিটির বর্তমান সভাপতি দাবিদার আব্দুস সামাদ মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন।

রাণীনগর প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে আব্দুস সামাদ অভিযোগ করে বলেন,ভেটুরিয়া মৌজায় কয়েকটি দাগে প্রায় ২০বিঘার অধিক সম্পত্তি কাঙ্গালী পীর তৎকালীন সময়ে মসলিম সম্প্রদায় তথা জনসাধারনের স্বার্থে সি/এস খতিয়ানে ভেটুরিয়া গ্রামের হেতু প্রামানিককে জিম্মাদার নিয়োগ করেন। এর পর থেকে সম্পত্তিগুলো কাঙ্গালী পীরের মাজার এবং একইস্থানে অবস্থিত ভেটুরিয়া ঈদগাঁর উন্নয়নে ব্যয় করে আসছিল। এরই মধ্যে হেতু প্রামানিক মারা গেলে তার ছেলে/নাতিরা নিজস্ব সম্পত্তি দাবি করে ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোগ দখল করতে থাকে। একপর্যায়ে মসলিম সম্প্রদায়ের পক্ষে ভেটুরিয়া গ্রামের আব্দুল করিম গত ২০০৭সালের ২৪জুলাই আদালতে মামলা দায়ের করে ২০১৯সালের ৭ফেব্রুয়ারী ডিগ্রি করেন।

সংবাদ সম্মেলনে আব্দুস সামাদ দাবি করেন, এই দীর্ঘ ১২বছর যাবৎ মামলা চলাকালে হেতু প্রামানিকের ওয়ারিশ বর্গ সেকেন্দার ও তার ভাই ছেলেরা ভোগ দখল করে পুকুর,জমি,ভিটা এবং উক্ত জায়গা থেকে বিভিন্ন প্রজাতির পুরোনো গাছ বিক্রি করে প্রায় ৫১লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে। এছাড়া আদালতের রায়ের পর একই এলাকার চকার পুকুর গ্রামের আব্দুল হাকিম রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ২০১৯সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত পুকুরসহ সম্পত্তিগুলো জবর দখল করে এবং পুকুর পারের একটি শতবর্ষি তেতুল গাছ বিক্রিসহ গত ৬বছরে প্রায় সাড়ে ৩৬লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে দাবি করেন আব্দুস সামাদ। তিনি আরো বলেন,এসব বিষয় নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। তাই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দূর্নীতিকারীদের শাস্তি প্রদান,আত্মসাতকৃত অর্থ আদায় এবং জিম্মাদারের পরিবর্তনের দাবি জানান। সম্মেলনে স্থানীয় ওসমান আলী, আজিজার রহমান,মোস্তাফিজুর রহমান সুমন ও শাহাজাহান আলী উপস্থিত ছিলেন।

এব্যাপারে জানতে চাইলে সেকেন্দার আলীর ছেলে দুলাল হোসেন জানান,উক্ত সম্পত্তিগুলো আমার দাদার নামে রেকর্ড আছে। সেই অনুযায়ী আমরা ভোগ দখল করেছি। পরে জনসাধারনের পক্ষে প্রতিপক্ষের লোকজন মামলা দায়ের করে ডিগ্রী পায়। আমরা ডিগ্রীর বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করেছি।বর্তমানে মামলা চলমান রয়েছে। এখানে টাকা আত্মসাতের মিথ্যে অভিযোগ করেছে।

জানতে চাইলে চকারপুকুর গ্রামের আব্দুল হাকিম জানান,ভেটুরিয়া ঈদগাঁ এবং মাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছি। ২০১৯সালে ডিগ্রি পাবার পর সেকেন্দার ও তার ওয়ারিশরা ডিগ্রির বিরুদ্ধে হাইকোটে আপিল করেছে।২০১৯সাল থেকে সেই মামলা এখনো পরিচালনা করছি এবং ঈদগাঁ এবং মাজার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। এসব করতে গিয়ে আমার পকেট থেকেই প্রায় একলক্ষ ১৫হাজার টাকা অতিরিক্ত খরচ হয়ে গেছে। কোন টাকা আত্মসাৎ করিনি। সংবাদ সম্মেলনে সব মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছে বলে দাবি করেন আব্দুল হাকিম।

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে