রাজশাহীতে সাংবাদিকদের সাথে আশা কর্মকর্তাদের মতবিনিময়
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীতে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আশার কর্মকর্তারা। বুধবার সকালে নগরীর উপশহরে অবস্থিত একটি রেস্টুরেন্টে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
আশার কার্যক্রমের মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আশার রাজশাহী বিভাগীয় এডিশনাল ডিভিশনাল ম্যানেজার শফিকুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, আশার মূল লক্ষ্য অসহায় ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠির জীবনমানের উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক মুক্তি। ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রমের বাইরেও স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা কার্যক্রম কর্মসূচি দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবন মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এই উন্নয়ন সংস্থা। সারাদেশে ৮১টি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র ও ১৫ হাজার ৫৮৫টি শিক্ষা কেন্দ্রের মাধ্যমে এই বিশেষ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
সভায় রাজশাহী ডিভিশনাল ম্যানেজার রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তৌহিদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, রাজশাহী প্রেসক্লাবের সভাপতি শ.ম সাজু, জুনিয়র এ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর মীর আনিছুর রহমান, সিনিয়র এডিশনাল ডিভিশনাল ম্যানেজার আশরাফ ফারুকসহ রাজশাহী প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা।
মুল প্রবন্ধে আরও বলা হয়, পুরনো ঋণগ্রহীতা সদস্যদের বয়স ৬৫ হলে তাকে নতুন করে আর ঋণ দেয় না বেসরকারি সংস্থা আশা। তবে তাদের দেওয়া হচ্ছে এককালীন ১৫ হাজার টাকা। এই টাকাটিকে অবসর ভাতা বলছে আশা। ২০১৮ সাল থেকে এমন কার্যক্রম শুরু করেছে দেশের বৃহত্তম ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনাকারী এই বেসরকারি সংস্থাটি। এতে খুশি দীর্ঘদিনের পুরনো সদস্যরা।
সভায় জানানো হয়, ঋণগ্রহীতা কোন সদস্যের বয়স ৬৫ বছর হয়ে গেলে সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী তাকে আর ঋণ দেওয়া সম্ভব হয় না। তখন তাকে এককালীন ১৫ হাজার টাকা দেওয়া হয় অবসর ভাতা হিসেবে। অন্তত আটবার ঋণ নিয়ে পরিশোধ করেছেন এমন সদস্যরাই আশার এই অবসর ভাতা পেয়ে থাকেন। অনলাইনে সদস্যদের তথ্য অন্তর্ভুক্ত থাকায় স্বয়ংক্রিয়ভাবেই অবসর ভাতা প্রাপ্য সদস্যের নাম দেখতে পান আশার কর্মকর্তারা। তখন সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হয়। জীবনের শেষ সময়ে এসেও অনেকে এই অবসর ভাতা দিয়ে ছোটখাট দোকান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। তাকে কারও মুখাপেক্ষি হয়ে থাকতে হয় না।
সভায় জানানো হয়, রাজশাহী, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও পাবনা নিয়ে আশার বিভাগীয় কার্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৫৫ জনকে ৮ লাখ ২৫ হাজার টাকা অবসর ভাতা দেওয়া হয়েছে।
এ অর্থবছরে ১ হাজার ৯৬৮ জন সদস্যকে চিকিৎসা সহায়তা হিসেবে ৪৯ লাখ ৮৯ হাজার টাকা এবং মৃত্যুজনিত কারণে ৯৩২ জন সদস্যের দাফন-কাফনের জন্য পাঁচ হাজার করে ৪৬ লাখ টাকা দিয়েছে আশা। এ অর্থবছরে বিভাগের ২২৬টি ব্রাঞ্চের মাধ্যমে ৫ লাখ ৩৯ হাজার ৪৬০ জন সদস্যের মাঝে ৩ হাজার ১৯৯ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে ৩ হাজার ৪৮১ কোটি টাকা বিতরণ করতে চায় সংস্থাটি।