ইউরিক অ্যাসিড বেড়েছে কিনা বলে দেবে ৩ লক্ষণ

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৯, ২০২৪; সময়: ৫:১২ অপরাহ্ণ |
ইউরিক অ্যাসিড বেড়েছে কিনা বলে দেবে ৩ লক্ষণ

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : ইউরিক অ্যাসিড হলো একটি রাসায়নিক পদার্থ যা শরীরের কোষে পুরিন নামক যৌগ ভাঙার মাধ্যমে তৈরি হয়। পুরিন বিভিন্ন খাবারে পাওয়া যায়, যেমন মাংস, সামুদ্রিক খাবার, এবং কিছু উদ্ভিজ্জ খাবারে। ইউরিক অ্যাসিড সাধারণত রক্তের মাধ্যমে কিডনিতে যায় এবং সেখান থেকে প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়।

যখন শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়, তখন তাকে হাইপারইউরিকেমিয়া বলা হয়। এটি বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে।

ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যাওয়ার কারণ-

১. খাদ্যাভ্যাস: উচ্চ-পুরিনযুক্ত খাবার বেশি খেলে।
২. কিডনির কার্যক্ষমতা হ্রাস: কিডনি ঠিকমতো ইউরিক অ্যাসিড ফিল্টার করতে না পারলে।
৩. ডিহাইড্রেশন: শরীরে পর্যাপ্ত পানি না থাকলে।
৪. জিনগত কারণ: পারিবারিকভাবে এই প্রবণতা থাকতে পারে।

ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যাওয়ার ৩ লক্ষণ-

১. গেঁটেবাত: পায়ের আঙুল, হাঁটু বা কব্জির মতো জয়েন্টে তীব্র ব্যথা এবং ফোলা।
২. কিডনি পাথর: কিডনিতে পাথর তৈরি হতে পারে।
৩. ত্বকের নিচে পিণ্ড: ইউরিক অ্যাসিড জমে গিয়ে ছোট পিণ্ড বা টোফি তৈরি হতে পারে।

নিয়ন্ত্রণের উপায়-

১. খাবারে পরিবর্তন: পুরিনযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন (লাল মাংস, সামুদ্রিক খাবার)। ফলমূল, শাকসবজি, এবং লো-ফ্যাট দুগ্ধজাত খাবার খান।
২. পর্যাপ্ত পানি পান করুন: এটি কিডনিকে ইউরিক অ্যাসিড পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
৩. ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন: অতিরিক্ত ওজন ইউরিক অ্যাসিড বাড়ানোর ঝুঁকি বাড়ায়।

যদি আপনার ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থাকে, তবে একজন চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ। তারা পরীক্ষার মাধ্যমে এর মাত্রা নির্ধারণ এবং চিকিৎসা ব্যবস্থা দিতে পারবেন।

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে