প্রতি বছর হারিয়ে যাচ্ছে ১ মিলিয়ন বর্গ কিমি উর্বর জমি

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩, ২০২৪; সময়: ১:২৫ অপরাহ্ণ |
প্রতি বছর হারিয়ে যাচ্ছে ১ মিলিয়ন বর্গ কিমি উর্বর জমি

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : খরা ও ভূমির অবক্ষয়ের কারণে প্রতি বছর ১ মিলিয়ন বর্গ কিলোমিটার উর্বর জমি হারিয়ে যাচ্ছে। যা পৃথিবীকে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) সৌদি আরবের রিয়াদের কপ ১৬ এর উদ্বোধনী সংবাদ সম্মেলনে এমন আশঙ্কার কথা জানানো হয়। সেখানে বক্তব্য রাখেন- সৌদি আরবের পরিবেশ বিষয়ক উপমন্ত্রী এবং কপ ১৬-এর উপদেষ্টা ডা. ওসামা ফকিহা, ইউএনসিসিডি এর নির্বাহী সচিব ইব্রাহিম থিয়াও ও পটসডাম ইনস্টিটিউট ফর ক্লাইমেট ইমপ্যাক্ট রিসার্চের পরিচালক অধ্যাপক জোহান রকস্ট্রোম।

ইউএনসিসিডি এর নির্বাহী সচিব ইব্রাহিম থিয়াও বলেন, কপ ১৬-এ বেসরকারি খাতের উচ্চ-পর্যায়ের অংশগ্রহণ পেয়ে আমরা খুবই খুশি। এটি কেবল সরকারগুলোর নিজেদের মধ্যে আলোচনা করার জন্য নয়, ব্যক্তিগত খাতকে জড়িত করার জন্যও সুবর্ণ সুযোগ। বিশ্বে ভূমি অবক্ষয়ের এক নম্বর কারণ খাদ্য ব্যবস্থা, খনি এবং ফ্যাশনের জন্য তুলা উৎপাদন। বৈশ্বিক ভূমি ক্ষয় মোকাবিলায় বেসরকারি খাতের আরও ভূমিকা রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।

খরা এবং ভূমি ক্ষয় মোকাবিলায় বিশেষ করে বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে সৌদি আরবের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন থিয়াও।

৮০টি দরিদ্রতম দেশের উদ্দেশে জাতিসংঘের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল আমিনা জে মোহাম্মদ বলেন, নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশগুলোকে তাদের প্রতিক্রিয়াশীল খরা প্রতিক্রিয়া থেকে প্রাথমিক সতর্কতা ব্যবস্থা এবং কৃষি স্থিতিস্থাপকতার মতো সক্রিয় পদক্ষেপে রূপান্তর করতে সহায়তা করতে হবে। আমরা ইতোমধ্যে বিশ্বের ৪০ শতাংশ উর্বর জমি এখন ক্ষয়প্রাপ্ত হয়েছে।

ভূমি পুনরুদ্ধারে অর্থায়নের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ তিনি বলেন, ভূমি পুনরুদ্ধারের তহবিলের মাত্র ৬ শতাংশ বেসরকারি খাত থেকে আসে। বেসরকারি খাত থেকে আমাদের আরও সাপোর্ট প্রয়োজন। বিশ্বব্যাপী ভূমি ক্ষয়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে খরা, ভূমি পুনরুদ্ধার এবং অর্থায়নকে প্রধান অগ্রাধিকার হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।

‘ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা জন্য আমাদের ২০৫০ সালের মধ্যে দ্বিগুণ খাদ্য উৎপাদন করতে হবে’- তিনি বলেছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে কিংডমের পরিবেশ বিষয়ক উপমন্ত্রী এবং কপ ১৬-এর উপদেষ্টা ওসামা ফকিহা বলেন, সৌদি আরবের ভূমি সংরক্ষণ বেসরকারি খাতের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। খরার স্থিতিস্থাপকতা, টেকসই ভূমি ব্যবস্থাপনা, জীববৈচিত্র্য সুরক্ষা এবং জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতার কাজে বেসরকারি খাত যুক্ত হতে পারে।

উপমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, পরিবেশ সুরক্ষা অবশ্যই ব্যবসায়িক কৌশলের একটি মূল উপাদান হয়ে উঠতে হবে। এটি জমি সংরক্ষণে বেসরকারি খাতের একটি দৃশ্যমান এবং বাস্তব আর্থিক অবদান হওয়া দরকার।

ফকিহা আরও বলেন, বেসরকারি খাতের বিনিয়োগগুলো উন্নত জীববৈচিত্র্য, জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা, খাদ্য নিরাপত্তা এবং সামাজিক মঙ্গলসহ ব্যবসার জন্য একাধিক সুবিধা নিয়ে আসবে।

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে