শিশুদের মুখে হাসি ফোটাচ্ছে ‘বিলুপ্ত হাসির সন্ধানে’
আশিকুজ্জামান আশিক (১৬), রাজশাহী : একটি সামাজিক উন্নয়নমুলক সংস্থা “বিলুপ্ত হাসির সন্ধানে”। যা সকল সুবিধাবঞ্চিতদের মুখে হাসি দেখবার জন্য অধীর আগ্রহের সাথে কাজ করে যাচ্ছে।
এবার শীতে এ সংগঠনটি অসহায় শিশু এবং বস্তির মানুষদের মুখে কিছুটা হাসি ফোটাতে পেরে কিছুটা স্বস্তি অনুভব করছে।
তারা রাজশাহীর ১২ রাস্তা, ছোটবনগ্রামে অবস্থিত একটি বস্তিতে ৩০ টি পরিবারের সকল সদস্যকে শীতবস্ত্র প্রদান করে। এ সংগঠনের মূল লক্ষ্য ছিল পথশিশু ও তাদের পরিবারের মানুষদের মুখে হাসি ফোটানো।
‘বিলুপ্ত হাসির সন্ধানে’ সংগঠনটির শুরুটা হয়েছিলো পথশিশুদের নিয়ে। গত বছরের ১৪ এপ্রিল রাজশাহীর রেলওয়ে মাঠ সংলগ্ন প্রায় ১৫০ জন দরিদ্র শিশুকে তারা খাদ্য বিতরণ করেছিলো।
সংগঠনটির সভাপতি অভির সাথে কথা হলে তিনি বলেন “মানুষ হিসেবে মানুষের পাশে এগিয়ে আসাটাই সকলের জন্য মূল কর্তব্য হওয়া উচিত। তার জন্য প্রয়োজন নিজের ইচ্ছা শক্তির। মানুষ তার ইচ্ছা অনুযায়ী সবই করতে পারেন। আর তাই কাউকে সাহায্য পরিকল্পনা করলে সে কখনো নিরাশ হবে না। তাই আপনাদের সকলের কাছে আবেদন থাকবে যেভাবেই পাড়ুন মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন।”
সহ-সভাপতি রুকশান আসসার বলেন, “মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে তোলা যেহেতু আমাদের মূল উদ্দেশ্য, তাই আমরাও চাইবো আপনারা আমাদের পাশে এসে দাঁড়ান। আপনাদের সকলের সহযোগিতায় একদিন এদেশের প্রতিটি নাগরিক প্রাণ খুলে, ক্লান্তি দূর করে, মন থেকে হাসতে পারবে।”
অর্থ-সম্পাদক সায়েম মাহমুদ বলেন,”আমরা কেউ অনেক বড় অর্থ দেই না কিন্তু সকলের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অর্থই আমাদের মোট অর্থকে বড় করে তোলে। সকলেই যদি এভাবে অংশগ্রহণ করে তবে দরিদ্রতা দূর করা খুব সহজ হয়ে যাবে।”
শুধু খাবার এবং শীতবস্ত্রই নয়, ঈদের আনন্দেও তারা শিশুদের জন্য নতুন ঈদ বস্ত্র বিতরণ করেছে। এ ক্ষেত্রে তারা রাজশাহীর ভদ্রা অঞ্চলের প্রায় ১৫০ শিশুকে ঈদবস্ত্র প্রদান করেছে।
তারা তাদের কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে ভুমিকা রাখবে। ‘সকলের স্বমন্বিত প্রচেষ্টাই পারে দারিদ্রতাকে পেছনে ফেলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে’ এমনটাই মনে করছেন এই সংস্থার সদস্যরা।