১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস কে ঘিরে কিছু কথা
আমার কথাগুলো খাপছাড়া মনে হতে পারে। কিন্তু আমি মন থেকেই বলছি আমার কথাগুলো। আমরা যারা বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের কর্মী, শুভাকাঙ্ক্ষী তারা প্রায় সবাই ১৫ আগস্ট নিয়ে ব্যথিত থাকি। কিন্তু এখান থেকে শিক্ষা নেই না আমরা। হয়তো জানিই না কী শিক্ষা নিতে হবে।
আমার কাছে ১৫ আগস্ট এর শিক্ষা হলো-বাঙালীর আত্মপরিচয় অনুসন্ধান করে পাওয়া এক ভঙুর কংকাল। কেন? তাই বলছি- জাতির সন্তান রা তাদের পিতার সাথে বেইমানি করেছে এ রাতে। হত্যার পরে আবার মূল স্রোতে মিশেও গেছে খুনীরা। হত্যার বিচার হতে লেগে গেছে কয়েক যুগ।
যিনি ছিলেন ঐক্যের প্রতীক, তাকে হত্যা করে যারা জাতির মাঝে বিভাজনের দেয়াল তুলেছিল, তারা আজ কোথায়?
খুনীদের ফাসী হলেও, খুনীদের সমর্থক হাজারো মানুষ আমার আপনার সাথে এ সমাজেই বাস করছে।
অনেক বাঙালী এখনো বঙ্গবন্ধু কে বিনম্র শ্রদ্ধা করে না। তাকে নিয়ে আড়ালে ঠাট্টা উপহাস করে। এসবে বঙ্গবন্ধুর প্রতি সাধারণ মানুষের আবেগ কমে যায় না। এ জাতি দ্রুতই ইতিহাস ভুলে যায়।
দ্রুত বিস্মৃত হয়ে যায়।
যারা বঙ্গবন্ধু র সমালোচনা করে বেড়ান, তারা কী জানেন, যে মাটিতে দাঁড়িয়ে তারা কুটচালে নিজেকে ব্যস্ত রেখেছে, সে মাটিতে দাঁড়িয়ে কথা বলার অধিকার এই মানুষ টাই এনে দিয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর নাম শুনলে এখনো যাদের গা জ্বলে, তার প্রতিষ্ঠিত আওয়ামী লীগের বিপক্ষে যারা অবিরাম কথা বলে উন্নয়ন কে থামাতে চায়, তাদের চিহ্নিত করে এখনই নির্মূল করা উচিত।
খুনীদের প্রশ্রয় দাতারা এখনো চারপাশে ছোক ছোক করে। চাটুকার হয়ে মনোরঞ্জন করে তুষ্ট রাখে উপরমহল কে। এদের কেও চিহ্নিত করে এখনই নির্মূল করা উচিত।
খুউব কাছের লোকজনের প্রতি সহজ সরল সাদা মনের মানুষ বঙ্গবন্ধুর অতি আস্থা, ভরসা, বিশ্বাস ছিলো।
আর তার কাছের লোকেরাই তার বিরুদ্ধে গিয়ে তাকে খুন করে রক্তাক্ত করেছে বাঙালীর ইতিহাস।
আসুন, বঙ্গবন্ধুর দর্শন ছড়িয়ে দেই সবার মাঝে। কিশোর-তরূন-যুবা দের আন্দোলিত করি বঙ্গবন্ধুর গল্প শুনিয়ে। আসুন, পোস্টার ব্যানারে নাম বাধিয়ে নয়, মনের মাঝখানে বঙ্গবন্ধুর ছবি রেখে তার গুণ গুলো চর্চা করি। চলুন, ১৫ আগস্ট এর এ শোকাবহ সময়ে ‘৭৫ এর আবহ অনুভব করি। আর সমাজে অশান্তি সৃষ্টিকারীদের সঠিক পথ দেখাই।
বঙ্গবন্ধু পথ দেখিয়ে গেছেন। তার দেখানো পথে এখনো হাটতে হবে বহুদূর। তার সোনার বাংলার স্বপ্ন আমি-আপনি-আমরাই বাস্তবায়ন করবো একদিন। আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করুক। জয় বাংলা।
জয় বঙ্গবন্ধু।
লেখক : ফিরোজ সরকার ফিরোজ
সাবেক সদস্য কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ও
সাবেক সহ সভাপতি রাবি ছাত্রলীগ।