রংপুরে ২৪ ঘণ্টায় আটজনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৪৪
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : রংপুর বিভাগে এক দিনের ব্যবধানে করোনাভাইরাসে দ্বিগুণ মৃত্যু হয়েছে। বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও আটজন প্রাণ হারিয়েছেন। নতুন করে ২৪৪ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এর আগে বুধবার (১৮ আগস্ট) বিভাগে করোনায় চারজনের মৃত্যু হয়। করোনা শনাক্ত হয় ২০৩ জনের। এ মাসের গত ১৯ দিনে বিভাগের আট জেলায় করোনায় ২০৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. মোতাহারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, নতুন মৃতদের মধ্যে ঠাকুরগাঁওয়ের তিনজন, রংপুরের দুইজন, পঞ্চগড়ের দুইজন ও নীলফামারীর একজন রয়েছেন।
২৪ ঘণ্টায় বিভাগজুড়ে ১ হাজার ৩২৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে রংপুরের ৫২ জন, দিনাজপুরের ৩৭, ঠাকুরগাঁওয়ের ৩৫, গাইবান্ধার ২৮, কুড়িগ্রামের ২৫, নীলফামারীর ২৫, পঞ্চগড়ের ২৩ ও লালমনিরহাট জেলার ১৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৪২ শতাংশ।
সর্বশেষ আটজনসহ রংপুর বিভাগে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ১২৯ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে আছে দিনাজপুর। এ জেলায় সর্বোচ্চ ৩১০ জন মারা গেছেন। আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বিভাগীয় জেলা রংপুরে। জেলা হিসেবে সবচেয়ে কম ৫৮ জন মারা গেছেন লালমনিরহাটে। এ ছাড়া ঠাকুরগাঁওয়ের ২২৪ জন, নীলফামারীর ৭৯, পঞ্চগড়ের ৭১, কুড়িগ্রামের ৬২ ও গাইবান্ধার ৫৯ জন মারা গেছেন।
গত বছরের মার্চে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত বিভাগে মোট ২ লাখ ৪৩ হাজার ৫৩৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫১ হাজার ২৪৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত বিভাগে ৪৩ হাজার ২১৩ জন সুস্থ হয়েছেন ।
এদিকে যতই দিন যাচ্ছে শহরে-গ্রামে স্বাস্থ্যবিধি মানছে না মানুষ। এতে বাড়ছে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি। হাটবাজার থেকে গণপরিবহন কোথাও স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। হাসপাতালগুলোতে করোনা রোগী ভর্তির চাপ কমেছে। তবে টিকা গ্রহণে সাধারণ মানুষের মধ্যে বেড়েছে সচেতনতা। এখন পর্যন্ত বিভাগের আট জেলায় ২২ লাখ ২৬ হাজার নারী-পুরুষ করোনার টিকা নিয়েছেন।
করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. মোতাহারুল ইসলাম। তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে। সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে করোনা মোকাবিলা করতে হবে।