দেশের উন্নয়নের গতি থামানোর চেষ্টা করে লাভ নেই : এমপি এনামুল হক
নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগমারা : রাজশাহীর বাগমারায় নতুন করে আরো ১০টি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করা হবে। সেই সাথে প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকে ডেলিভারি বিভাগ চালু করা হবে। সেই সাথে ক্লিনিকের অবকাঠামোগত পরিবর্তন করা হবে। এতে করে প্রত্যন্ত এলাকার সাধারণ জনগণের পাশাপাশি সর্বস্তরের লোকজন গর্ভবতি মায়ের সন্তান প্রসব করাতে পারবেন। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশের প্রতিটি মানুষের দৌড়গোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করে।
বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর ওই সকল ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়। এতে করে প্রত্যন্ত এলাকার লোকজন স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হয়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে পুনরায় ওই সকল কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করা হয়। এরফলে বেকার লোকজনের কর্মসংস্থান হওয়ার পাশাপাশি প্রত্যন্ত এলাকার জনসাধারণের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত হয়েছে।
এই ধারাবাহিকতা বজার রাখার কোন বিকল্প নেই। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে বিনা মূল্যে স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের পাশাপাশি ঔষধ প্রদান করা হয়ে থাকে। সবাইকে বাড়ির পাশের কমিউনিটি ক্লিনিকে গিয়ে সেবা নেয়ার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা ও কমিউনিটি ক্লিনিক ট্রাস্টি বোর্ডে সভাপতি অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী।
বুধবার বেলা ১১ টায় উপজেলার হাট গাঙ্গোপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কমিউনিটি ক্লিনিকের সুবিধাভোগীদের সাথে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্য প্রদান কালে এসব কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাগমারা আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক বলেন, ষড়যন্ত্র করে লাভ নেই। দেশের চলমান উন্নয়নের গতি থামনো যাবে না। দেশের প্রতিটি স্থানে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। মানুষ জেনে গেছে কারা দেশের উন্নয়নে কাজ করে। দেশের পাশাপাশি বাগমারা উপজেলায় খাদ্যের কোন সমস্যা নেই। বাগমারা এখন শতভাগ বিদ্যুতায়িত এলাকা। জামায়াত-বিএনপির শাসনামলে বাগমারা ছিল রক্তাক্ত জনপদ। সেই অবস্থা থেকে আজ বাগমারা উন্নয়নের শিখরে অবস্থান করছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ অবকাঠামোগত উন্নয়ন সহ প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটেছে।
বাগমারার জনগণ আর আগের রুপে যেতে চাই না। বর্তমানে জীবনযাত্রার পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটেছে। বাগমারাবাসী এখন নিরাপদে এবং নিশ্চিন্তে চলাচল করতে পারে। বাগমারায় বর্তমানে চার লক্ষাধিক লোকের বাস। এখানে প্রত্যন্ত এলাকার চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে সকল প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বর্তমান সরকার। সরকারের স্বাস্থ্যসেবাকে আরো গতিশীল করতে কমিউনিটি ক্লিনিকের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ গোলাম সারওয়ার আবুলের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের জাতীয় সমন্বয়ক শাহানা পারভীন, রাজশাহী জজ কোর্টের সাবেক পিপি এ্যাড. ইব্রাহীম হোসেন, কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি আফসার আলী।
উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডাঃ আবু সাইদ মোঃ ফারুক, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ গোলাম রাব্বানী, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ, চেয়ারম্যান আজাহারুল হক, লুৎফর রহমান, সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম, সরদার জান মোহাম্মদ, জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ কুমার প্রতীক দাশ রানা, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুস সামাদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মতিউর রহমান টুকু, আহসান হাবিব, রিয়াজ উদ্দীন আহমেদ, মরিয়ম বেগম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আল মামুন, দপ্তর সম্পাদক নূরুল ইসলাম, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক আলী হাসান, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আশিকুর রহমান সজল, মহিলা লীগের সভাপতি কহিনুর বানু, সাধারণ সম্পাদক জাহানারা বেগম, যুব মহিলা লীগের সভাপতি শাহিনুর খাতুন, সাধারণ সম্পাদক পারভীন আক্তার, কৃষকলীগের সভাপতি মহসিন আলী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বাবু প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ৬টি ইউনিয়নের ১৪টি কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি, কমিউনিটি ক্লিনিকের সুবিধাভোগীরা সহ আওয়ামী লীগ ও অংগ সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা শেষে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের বানাইপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান কার্যক্রম পরিদর্শন করেন প্রধান অতিথি সহ অতিথিবৃন্দ।